বরাবাজারে ছাত্র সংঘর্ষে জখম পুলিশ
টিএমসিপি-র সঙ্গে জোট না করায় পুরুলিয়ার কলেজ নির্বাচনে ভুগতে হল ছাত্র পরিষদকে। টিএমসিপি অবশ্য গত বারের তুলনায় জেলায় ছাত্র সংসদের দখল বাড়িয়েছে। কলেজ ভোট ঘিরে বৃহস্পতিবার অশান্তি হয়েছে বরাবাজারে।
এ দিন জেলার ১২টি কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়। তার মধ্যে ৮টি কলেজে টিএমসিপি জয়ী হয়। বাকি চারটির মধ্যে জেলার একমাত্র মহিলা কলেজ নিস্তারিণীর ছাত্র সংসদের দখল বজায় রেখেছে এসইউসি-র ছাত্র সংগঠন ডিএসও। এসএফআই নিজেদের দখলে রেখেছে মানবাজারের মানভূম কলেজ ও কাশীপুরের মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ। সুইসার নেতাজি আশ্রম মহাবিদ্যালয়ের ফল অমীমাংসিত রয়েছে। সেখানে ১২টি আসনের মধ্যে ৬টি ছাত্র পরিষদ, ৫টি টিএমসিপি এবং একটি আসনের ফল অমীমাংসিত রয়েছে। ওই আসনটিতে আজ শুক্রবার, নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
তুলনায় খারাপ ফল হয়েছে বাম-শিবিরের। নির্বাচনে এসএফআই এবং ফব’র স্টুডেন্ট ব্লক গতবারের তুলনায় ৫টি কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতা হারিয়েছে।
বরাবাজারের বিক্রম টুডু মেমোরিয়াল কলেজের সামনে এ দিন বিকেলে নির্বাচনের ফল বের হওয়ার পরে টিএমসিপি সদস্যেরা বিজয় উল্লাস করেন। তা নিয়ে গোলমাল বাধে। সেই সময় তাঁদের সঙ্গে এসএফআই সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে ইট-পাটকেল ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে ইটের ঘায়ে কয়েক জন পুলিশকর্মীও জখম হন। তাদের এক সদস্যও জখম হয়েছেন বলে দাবি টিএমসিপি-র। পুলিশ জানিয়েছে, টিএমসিপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
রঘুনাথপুর কলেজের সব ক’টি আসন দখল করেছে টিএমসিপি। নিতুড়িয়া পঞ্চকোট মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের দখল এসএফআইয়ের হাত থেকে কেড়ে নেয় টিএমসিপি। কাশীপুরের মাইকেল মধুসূদন কলেজে লড়াই হয় ত্রিমুখী। ১৫টি আসনের মধ্যে তিনটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি জেতে। বাকি ১২টি আসন পায় এসএফআই। পুরুলিয়া শহরের জে কে কলেজেও ত্রিমুখী লড়াইয়ে ছাত্র সংসদ দখল করে টিএমসিপি। ঝালদার অচ্ছ্রুরাম মহাবিদ্যালয়ে বামফ্রন্টের ছাত্র সংগঠনের হাত থেকে সংসদের দখল পেয়েছে টিএমসিপি। সেখানে প্রার্থী দিয়ে একটি আসনও পায়নি ছাত্র পরিষদ। বলরামপুর কলেজেও এসএফআই ছাত্র সংসদের দখল ধরে রাখতে পারেনি। সেখানেও টিএমসিপি জিতেছে। বরাবাজারের বিক্রম টুডু মেমোরিয়াল কলেজেও এসএফআইয়ের থেকে সংসদ দখল করে টিএমসিপি। হুড়ার লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজেও ছাত্র সংসদের ক্ষমতা ধরে রেখেছে টিএমসিপি। পুঞ্চার লৌলাড়া রামসেবক সেন্টেনারি কলেজে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টিএমসিপি জিতেছিল।
ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি হরেরাম সিংহ অভিযোগ করেন, “টিএমসিপি নির্বাচনে টাকা ছড়িয়েছে।” এসএফআইয়ের জেলা সভাপতি মহম্মদ আরমান ও ছাত্র ব্লকের নেতা মুকেশ দাস বলেন, “টিএমসিপি নির্বাচনে সন্ত্রাস চালিয়েছে। তা উপেক্ষা করেই ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সমর্থন করার সাহস দেখাতে পারেনি। এছাড়া ওরা চাকরি দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে।” ডিএসও’র জেলা সম্পাদক সাবিত্রী মাহাতো বলেন, “এই ফল এসএফআইয়ের প্রতি ছাত্রদের বিরোধী মনোভাবের প্রকাশ। এতে টিএমসিপি’র সাফল্য নেই।” টিএমসিপি’র জেলা সম্পাদক সুকুমার রায়ের মন্তব্য, “শিক্ষার উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এই সাফল্য এসেছে। নির্বাচনে হেরে অন্য সংগঠনগুলি ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছে।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.