|
|
|
|
অবশেষে ৯ শিশুকে নিয়ে উদ্বেগ কাটল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
লোধা-আশ্রমের ৯ শিশুকে নিয়ে যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছিল অভিভাবকদের মধ্যে, তা অবশেষে কাটল। বুধবারই অভিভাবকদের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি আশ্রমে নিয়ে গিয়ে তাঁদের শিশুদের সঙ্গে দেখা করানো হয়। ওই শিশুরা ওই আশ্রমেই থাকবে না কি তাদের বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হবে--এ বার সংশ্লিষ্ট অভিভাবকদের কাছে তা জানতে চাইবে জেলা প্রশাসন। এ জন্য বৃহস্পতিবার থেকেই অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দফতরের কর্মীরা। পশ্চিম মেদিনীপুরে সংশ্লিষ্ট দফতরের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রণব ঘোষ বলেন, “অভিভাবকেরা যেমনটা চাইবেন, তাই হবে। লিখিত ভাবে ওঁদের ইচ্ছার কথাই জানতে চাওয়া হচ্ছে।” |
|
নিজস্ব চিত্র। |
শালবনি ব্লকের পাথর-কুমকুমির গোয়ালডিহিতে ‘চুনি কোটাল আদর্শ আদিবাসী আশ্রম ও হস্টেল’ রয়েছে। এখানে ২৩৮ জন ছাত্রছাত্রী থাকে। বেশিরভাগই জঙ্গলমহল এলাকার। অভিযোগ, আশ্রমে ভর্তি ৯ শিশুর কোনও খোঁজ গত ৩ মাস ধরে পাচ্ছিলেন না অভিভাবকেরা। আশ্রমে গেলে বলা হত, শিশুরা অন্য জায়গায় আছে। অভিভাবকেরা জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত-র সঙ্গেও দেখা করেন। জেলাশাসক তাঁদের জানান, ৯ শিশু দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার একটি আশ্রমে আছে। জেলা প্রশাসন শিশুদের সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা না-করায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। শেষমেশ, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বুধবার অভিভাবকদের ওই আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়। আরও ভাল ব্যবস্থাপনার জন্যই শালবনি থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ওই আশ্রমে শিশুদের পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি প্রশাসনের। |
|
|
|
|
|