|
|
|
|
স্কুলে-ভর্তি নিয়ে জট |
তমলুকে বিক্ষোভ, বৈঠক মেদিনীপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক ও মেদিনীপুর |
পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাসদর তমলুকে। রাজকুমারী সান্ত্বনাময়ী বালিকা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ দেখান কিছু অভিভাবক। বিক্ষুব্ধেরা স্কুলের দু’টি গেটেই তালা ঝুলিয়ে দেওয়ায় ভিতরে ঢুকতে পারেননি শিক্ষিকারাও। ফলে এ দিন স্কুলের প্রথম ও পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি-প্রক্রিয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। প্রধান শিক্ষিকা কৃষ্ণা মজুমদার বলেন, “বাইরে বিক্ষোভের কারণে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে পারেননি শিক্ষিকারা। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের নির্দেশে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।” স্কুল সূত্রের বক্তব্য, সরকারি নির্দেশিকা মেনেই গত ১৫ ডিসেম্বর আবেদনকারী ছাত্রীদের নাম নিয়ে লটারি হয়। প্রথম দফায় ভর্তির পরে ‘ওয়েটিং লিস্ট’ থেকে ফের ১৭ জনকে ভর্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এ দিকে, দু’দফাতেও লটারিতে নাম না ওঠায় হতাশ হয়ে পড়েন বেশ কিছু অভিভাবক। এ দিন তাঁরাই মূলত বিক্ষোভ দেখান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক বলেন, “পছন্দসই স্কুলের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বাড়ি হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না।” বিক্ষোভের খবর পেয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও কাউন্সিলরেরা স্কুলে আসেন। ঠিক হয়েছে আগামী সোমবার ভর্তি নিয়ে স্কুলে বৈঠক হবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুরেরও কয়েকটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নিয়ে মস্যা হচ্ছে। কোথাও একই ক্যাম্পাসে চলা প্রাথমিক স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সরকারি নির্দেশ সত্ত্বেও সরাসরি পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কোথাও আবার ভর্তির সময়ে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। ভর্তি-সংক্রান্ত সমস্যা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার জেলায় আসেন শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর চিন্ময়ী পট্টনায়েক। এ দিন দুপুরে জেলা শিক্ষা-ভবনে বৈঠক করেন তিনি। জেলা শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে প্রধান শিক্ষক, প্রধান শিক্ষিকা ও পরিচালন সমিতির সম্পাদকেরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, ভর্তির সময়ে কোনও স্কুলই অতিরিক্ত ফি নিতে পারবে না। সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা নেওয়া যাবে। অন্য দিকে, কোনও স্কুলের ক্যাম্পাসে যদি প্রাথমিক স্কুল চলে, তা হলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সংশ্লিষ্ট স্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে সরাসরি ভর্তি নিতে হবেই বলে জানিয়ে দেন ডেপুটি ডিরেক্টর। বৈঠকে উপস্থিত সবাই এই সিদ্ধান্তে একমত হন। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সঙ্ঘমিত্র মাকুড় বলেন, “ভর্তি নিয়ে জেলায় আর তেমন সমস্যা নেই। কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। বৈঠকে সে নিয়ে আলোচনাও হয়।” ভর্তির সময় যে সব স্কুল বাড়তি ফি নিয়েছে, তা ফেরত দেওয়া হবে বলেও এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। |
|
|
|
|
|