দিয়েগো সোরিন-মানিশে-ওকোচার মতো বিশ্বকাপারদের সঙ্গে খেলার সুযোগ পেতে চলেছেন কলকাতা লিগে খেলা ফুটবলাররা।
তবে ব্যারেটো-মেহতাবরা নন। আই লিগে নথিভুক্ত হননি এ রকম ফুটবলাররাই পারবেন পিএলএস বা প্রফেশনাল লিগ সকারে খেলতে। আইএফএ ভারতীয় ফুটবলারদের যে তালিকা তৈরি করছে তাতে ইস্ট-মোহন-মহমেডান-সহ কলকাতা লিগের ভাল ফুটবলারদেরও নাম থাকছে। বৃহস্পতিবার এক হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “আই লিগে নথিভুক্ত হননি বড় দলের সেই সব ফুটবলার চাইলে পি এল এসে খেলতে পারবেন।”
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি শুরু হবে পিএলএস। তখন আই লিগ চললেও শেষ হয়ে যাবে কলকাতা লিগ। লিগ খেলা ফুটবলারদের খেলায় তাই বাধা নেই। অনূর্ধ্ব একুশ প্রতিভাবান ফুটবলারদের সামনেও থাকছে বিশ্বকাপারদের পাশে খেলার সুযোগ। যা আই লিগেও পান না বেশির ভাগ ফুটবলারই। মোট ছ’টি শহরের টিম খেলবে। গ্রুপ লিগে প্রতিটি টিমকে খেলতে হবে দশটি করে ম্যাচ। যার মধ্যে পাঁচটি হোম ম্যাচ। সেমিফাইনালও হবে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে। আই লিগের মতোই প্রতি দল নথিভুক্ত করাতে পারবে চার জন বিদেশি। যাঁদের তিন জন থাকতে পারবেন প্রথম এগারোয়। এঁদের মধ্যে এক জন বিদেশি হবেন ‘আইকন’ অর্থাৎ নামী বিশ্বকাপার। যে ফ্রাঞ্চাইজিরা টিম কিনবেন তাদের জন্য ন্যূনতম মূল্য থাকছে ৫০ লক্ষ থেকে এক কোটি টাকা। শহর এবং ফুটবলার অনুযায়ী টিমের দাম ঠিক করা হবে। এ দেশের ফুটবলে প্রথম কর্পোরেট কোম্পানি ফুটবল-দল কেনার সুযোগ পাবেন পিএলএসে।
টিম-মালিকরা মোট ২৫ থেকে ৩০ জন ফুটবলার নিতে পারবেন দলে। অনূর্ধ্ব একুশের ছ’জন এবং সংশ্লিষ্ট জেলার ছ’জন ফুটবলার থাকতে পারবেন টিমে। আই এফ এ-র সহযোগী সংগঠক সিএমজি কর্তা ভাস্বর গোস্বামী দাবি করলেন, “আইপিএল-এ টিম রয়েছে এ রকম ফ্র্যাঞ্চাইজিও পিএলএসের দল কিনতে চেয়েছে।” তিনি জানিয়ে দেন, কোচেরাই নিলামে ফুটবলারদেরও কিনবেন।
ভ্রম সংশোধন: বৃহস্পতিবার আনন্দবাজার পত্রিকার খেলার পাতায় ছবির ক্যাপশনে ভুলবশত লেখা হয়েছে, সুনীল ছেত্রীর জন্মদিন ২১ ডিসেম্বর। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত। |