খাঁচায় ঢুকে খাবার দেওয়ার সময়ে ফাঁক গলে বেরিয়ে পড়েছিল তিনটি চিতল হরিণ। বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার শ্যামপুরের গড়চুমুকের হরিণ-বাগান থেকে পালানো সেই তিনটি হরিণকেই অবশ্য বেলায় ধরে ফেলেন বনকর্মীরা। কিন্তু গ্রামবাসী আর বনকর্মীদের তাড়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ে দু’টি হরিণ। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে তাদের চিকিৎসা চলছে। চিতল হরিণ তীব্র গতিতে ছুটতে পারে ঠিকই তবে এক নাগাড়ে বেশিক্ষণ নয়। এক টানা ছুটোছুটি করলে তাদের ‘হার্টফেল’ করার প্রবণতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না বনকর্মীরা। গ্রামবাসীদের অবশ্য দাবি, তিনটি নয়, পালানো হরিণের সংখ্যাটা বেশি। বন দফতর তা খতিয়ে দেখছে বলেও জানা গিয়েছে। |
গড়চুমুকের ওই হরিণ বাগানে একটি খোলা এনক্লোজারে রয়েছে ১১৮টি হরিণ। খাঁচার দু’টি দরজা। এ দিন সকালে পিছনের দরজা দিয়ে বনকর্মীরা যখন খাবার দিতে ঢোকেন তখনই পালিয়ে যায় তিনটি হরিণ। কাছেই মজা দামোদর নদ। উল্টো দিকের পাড় বরাবর উলুঘাটা গ্রাম। বেলায় সেই গ্রামের একটি ঝোপের মধ্যেই বসে থাকতে দেখা যায় একটি হরিণকে। বনকর্মীদের সঙ্গে এ বার হরিণ ধরতে নেমে পড়েন গ্রামবাসীরাও। একে একে অন্যগুলিরও খোঁজ মেলে। গ্রামেরই বিভিন্ন ঝোপে ঝাড়ে। হরিণ ধরে গ্রামবাসীরা তাদের জমা দেন ৫৮ গেট পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখান থেকে বন দফতরের কর্মীরা হরিণগুলিকে ফের ছনে দিয়েছেন ওই বাগানে। বনাধিকারিক গৌতম চক্রবর্তী জানান ছুটোছুটির সময়ে একটি হরিণের আঘাত লাগে। তার চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের অজয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “ভাল ভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় না বলেই এমন হয়েছে।” পালালো কী করে? গৌতমবাবু বলেন, “হরিণের খাঁচাতেই রয়েছে একটি নীলগাই। সেটি ওই হরিণগুলিকে তাড়া করেছিল। তার ফলেই দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি হরিণ পালিয়ে যায়।” |