বার্ড ফ্লু ভাইরাসেই কাকের মৃত্যু
দুর্গাপুজোর সময় থেকেই রাঁচি, জামশেদপুর-সহ ঝাড়খণ্ডের বেশ কিছু স্থানে অস্বাভাবিক হারে কাকের মৃত্যু ঘটছে। এ নিয়ে জমমনে আতঙ্কেরও সৃষ্টি হয়। রাজ্য পশুপালন দফতর এর কারণ জানতে মৃত কাকের দেহাংশ পরীক্ষার জন্য পাঠায় ভোপালের হাই সিকিউরিটি অ্যানিমাল ডিজিজেস ল্যাবরেটারিতে (এইচএসএডএল)। পরীক্ষার পরে বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, এইচ ৫ এন-১ ভাইরাস-এর সংক্রমণই ঝাড়খণ্ডে ব্যাপক হারে কাকের মৃত্যুর কারণ। মৃত কাকের মস্তিষ্কে ওই ভাইরাসের লক্ষণ মিলেছে। সাধারণ ভাবে এই ভাইরাস ‘বার্ড ফ্লু’ নামেই পরিচিত।
জামশেদপুরে মরা কাক রাস্তায়। পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।
এ দিন রাজ্যের বন ও পরিবেশ এবং পশুপালন দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, ঠিক কী ভাবে কাকের মস্তিষ্কে এইচ ৫ এন-১ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে তার উৎস খুঁজতে দিল্লির জনস্বাস্থ্য বিভাগীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যে আসছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞ দল।
রাজ্য পশুপালন দফতরের তথ্য অনুযায়ী, ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েই মাস দু’য়েকের মধ্যে রাজধানী শহর রাঁচি-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তিন হাজারের বেশি কাকের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা জামশেদপুরেই সর্বাধিক। তবে মৃত কাকের মাথায় মেলা ওই ভাইরাস এখনও রাজ্যের কোনও মুরগি খামারে কিংবা পশুশালার পাখিদের মধ্যে সংক্রামিত হয়নি বলে রাজ্য পশুপালন এবং বন দফতরের কর্তাদের দাবি। রাজ্য পশুপালন দফতরের অধিকর্তা আনন্দগোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের যে সব অঞ্চলে অস্বাভাবিক হারে কাক মরেছে, সেই সব অঞ্চলের দশ কিলোমিটার ব্যসার্ধের মধ্যে অবস্থিত খামার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ভোপালে পাঠানো হয়। খামারের মুরগির নমুনা পরীক্ষায় কোনও রকম বার্ড-ফ্লু ভাইরাস পাওয়া যায়নি।” আরও জানানো হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে প্রতিদিনের ঘটনা প্রবাহের রিপোর্ট দিল্লির পশুপালন এবং জনস্বাস্থ্য দফতরকে পাঠানো হচ্ছে। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের কোনও জায়গা থেকেই অস্বাভাবিক হারে কাকের মৃত্যুর খবর আসেনি।
ইতিমধ্যেই রাজ্য বন দফতর থেকে সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে সরকারি, বেসরকারি সকল পশুশালা এবং উদ্যানের পাখিরালয়গুলিতে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.