পরীক্ষার সময় স্কুলে মাইক বাজিয়ে চলছিল সরকারি যুব উৎসব। অভিভাবকদের চাপে তা বন্ধ হয়ে গেল। বৃহস্পতিবার দুপুরে রঘুনাথগঞ্জ হাইস্কুলে তারপরে তৃতীয় শ্রেণির প্রকৃতি বিজ্ঞান পরীক্ষা হয়েছে মাইকের শব্দ ছাড়াই। তবে তার আগে পরীক্ষা দিতে যে বেশ সমস্যাই হয়েছিল, তা জানিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ত্রিলোচন দাস। তিনি বলেন, “১৫ ডিসেম্বর থেকে পরীক্ষা চলছে। তাই উদ্যোক্তারা যখন বুধবার মণ্ডপ বাঁধছিলেন, তখনই তাঁদের মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে, পরীক্ষা চলছে। তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছিল, পরীক্ষা চলাকালীন দু’ঘণ্টা মাইক না বাজাতে। তবু এই দিন তাঁরা তারস্বরে মাইক বাজাচ্ছিলেন।” |
প্রাথমিকের ছাত্রছাত্রীরা তখন ভিতরে পরীক্ষা দিতে মনোনিবেশ করতে পারছিল না। এরপরেই পরিস্থিতি দেখে ছুটে আসেন হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বপন দাস বলেন, “সরকারি যুব উৎসব করবেন বলে যুব আধিকারিক এসে স্কুল ভবন ব্যবহারের অনুমতি নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাইক বাজানোর কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। আমি উদ্যোক্তাদের বলি পরীক্ষা চলাকালীন মাইক বন্ধ রাখুন। কিন্তু উদ্যোক্তারা আমাদের কথা শোনেননি।” অভিভাবক জয়ন্ত রুদ্র বলেন, “স্কুল কর্তৃপক্ষের অনুরোধ উদ্যোক্তারা না শোনায় অভিভাবকেরাই বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।” আইনজীবী অংশুমালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার ছেলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। যেখানে পরীক্ষা দিচ্ছে, তার দশ হাত দূরে তারস্বরে মাইক বাজছে। খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে বাধা দিয়েছি। তারপরে বিক্ষোভও দেখিয়েছি।” তবে তারপরেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাইক। তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সদস্য শেখ ফুরকান বলেন, “নেহাৎ-ই একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা চলছিল, এটা উদ্যোক্তারা বুঝতে পারেননি। পরে অভিভাবকেরা এসে বলার পরে মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে আবার উৎসব শুরু হয়েছে।” |