|
|
|
|
গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত নয়, হুঁশিয়ারি দিলেন মুকুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাণ্ডুয়া |
দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার বৈঁচিতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের হুগলি জেলা সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের এই হুঁশিয়ারি দিলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী মুকুল রায়।
এ দিন বৈঁচি হিমঘর ময়দানে ওই সম্মেলন হয়। দলের কয়েক হাজার নেতা-কর্মীর সামনে মুকুলবাবু বলেন, “দলে কোনও রকম দ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না। সবাইকে এক সঙ্গে রাজ্যের উন্নতির দিকে এগিয়ে চলতে হবে। যে কোনও ক্ষেত্রে অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করতে হবে। তার পরে, তাঁকে বোঝাতে হবে। এ ব্যাপারে যুব সম্প্রদায়কে বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে।” আমরি-কাণ্ডের প্রসঙ্গও তোলেন মুকুলবাবু। তিনি বলেন, “আমরি কাণ্ডে যে ছয় কর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, ৩৪ বছরের বাম জমানায় তাঁরা চুটিয়ে ব্যবসা করেছেন। কিন্তু মানুষের সুরক্ষার দিকে নজর দেননি। এখন এত লোকের মৃত্যুর পরে তাঁদের দুর্নীতি ধরা পড়েছে। বর্তমান রাজ্য সরকার কোনও দুর্নীতি বরদাস্ত করবে না। যে দলেরই হোক, অন্যায় করলে শাস্তি পেতে হবে।” মুকুলবাবু ছাড়াও সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সভাপতি তথা সপ্তগ্রামের বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্র-সহ জেলার আরও কয়েকজন বিধায়ক। ছিলেন উত্তরবঙ্গের বিধায়ক অর্ঘ্য রায়প্রধান এবং উত্তর ২৪ পরগনার বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত। জরুরি কাজে দিল্লি চলে যাওয়ায় শুভেন্দু অধিকারী আসতে পারেননি। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকতে পারেননি। শীলভদ্রবাবুর বক্তব্য, “দলে যদি কোনও বেনোজল ঢুকে থাকে, তবে আমাদের মতো বিধায়করাই তা ঢোকাচ্ছেন। বেনোজলরা দলে ঢুকে পড়ে যেন শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে না পারে, সে দিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে। সিপিএমের হার্মাদরা নিজেদের পিঠ বাঁচাতে যদি আমাদের দলে যোগ দেয়, সেটাও কঠোর হাতে দমন করতে হবে।” |
|
|
|
|
|