স্বাভাবিক বর্ষা। তারই হাত ধরে কৃষিতে ভাল ফলন। শীতের সব্জির পর্যাপ্ত সম্ভার। ভারতীয় অর্থনীতির মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার ধাপে ধাপে ১.৮১ শতাংশে নেমে আসা থেকে অন্তত সেই ইঙ্গিতই খুঁজে পেয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার মূল্যবৃদ্ধির এই পরিসংখ্যান প্রকাশের পরই সেনসেক্সের ১২৮ পয়েন্ট উত্থান সেই মতকেই সমর্থন করছে বলে মনে করছেন তাঁরা। বাজার সূত্রের ইঙ্গিত, এই ‘শুভ খবর’-ই এ দিন প্রাণ ফিরিয়েছে শেয়ার বাজারে। এর পর রিজার্ভ ব্যাঙ্ক তার ২৪ জানুয়ারির ঋণনীতিতে সুদ কমানোর পথেই ফিরে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছে ব্যাঙ্কিং মহল। আর সে ক্ষেত্রে শিল্পের হাতে নগদের জোগান বাড়লে তা শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধির হারকেও টেনে তুলবে বলে আশা বিশেষজ্ঞদের। তবে সার্বিক মূল্যৃবৃদ্ধি এখনও ৯.১১ শতাংশে থাকা এবং ইউরোপের আর্থিক সঙ্কট এখনও কিছুটা দুশ্চিন্তার কারণ। |
খ্যদপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ১০ ডিসেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহে নেমেছে গত চার বছরের মধ্যে সব থেকে নীচে। গত সপ্তাহে তা ছিল ৬.৬%। তবে সরকারি সূত্রে খবর, ভাল ফলন ছাড়াও এর জন্য দায়ী গত বছর এই সময়ে মূল্যবৃদ্ধির চড়া হার। গত বছর খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ছিল ১৩ শতাংশের উপরে। ফলে তার ভিত্তিতে এ বছরের হিসেব করাটাও হার কমার অন্যতম কারণ।
এ সপ্তাহে সাধারণ ভাবে সব্জির দাম কমেছে ২৬.৩৭%। পেঁয়াজ ৪৯%, আলু ৩৪%।
এ দিকে, গত দু’দিনের লেনদেনেই সূচক বেড়ে গেল ৬৩৮ পয়েন্ট। যদিও কেনা- বেচার পরিমাণ ছিল কম। তবে এই বৃদ্ধি দেখে বাজারকে বিচার করার কোনও যুক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন আর্থিক সংস্থা ফিনশোর গোষ্ঠীর সিইও লক্ষ্মণ শ্রীনিবাসন। তিনি বলেন, “এটা বড় কিছু শেয়ার ব্যবসায়ীর ছোট লগ্নিকারীদের প্রলুব্ধ করার কৌশল।” ডলারে টাকার দাম এ দিন পড়েছে ২২ পয়সা। পাশাপাশি, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে লেনদেনে ৫০ হাজার টাকার সীমা শিথিল করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। |