স্মারকলিপি দিতে এসে ব্লক অফিসে তালা দিল বিজেপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী স্মারকলিপি দিতে এসে বিডিও এবং যুগ্ম বিডিওকে না পেয়ে অফিসে তালা দিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে নলহাটি ১ ব্লক অফিসে। পরে যুগ্ম বিডিও স্মারকলিপি নিলে পৌনে তিনটে নাগাদ তালা খুলে দেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা।
দলের নলহাটি ১ ব্লক সভাপতি অনিল সিংহ বলেন, “রাজ্য জুড়ে এ দিন ব্লক অফিসে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্লক অফিসে দেখা যায় বিডিও নেই। পরে যুগ্ম বিডিও-র খোঁজ করা হয়। কিন্তু কর্মীরা তাঁরও খোঁজ না পেয়ে দুপুর ১২টা নাগাদ তালা দিয়ে দেন।” বিডিও অচিন্ত্য সিংহ বলেন, “এ দিন সকালে জেলায় প্রাশসনিক বৈঠকের জন্য সিউড়িতে যেতে হয়েছিল। তাই অফিসে ছিলাম না। কী হয়েছে আমার জানা নেই। তবে যুগ্ম বিডিওকে বিষয়টি দেখার জন্য বলা হয়েছে।” যুগ্ম বিডিও কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, “আমি একটি সভায় ব্যস্ত ছিলাম। তাঁরা যে স্মারকলিপি দেবেন সেটা প্রথম দিকে জানা ছিল না। সকালে তাঁরা এসে পড়ায় সভা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারিনি। পরে জানলাম তাঁরা মূল প্রবেশদ্বারে তালা দিয়েছেন। পরে বিডিও-র বসার ঘরে তাঁদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয় এবং স্মারকলিপি নেওয়া হয়।”
অনিলবাবুর অভিযোগ, “এলাকার চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ১০ কুইন্টালের বেশি ধান কেনা হচ্ছে না। ফলে যাঁদের ঘরে বেশি ধান আছে তাঁরা বাধ্য হয়ে বাইরে বিক্রি করছেন। তা করতে গিয়ে চরম সমস্যায় পড়ছেন। এ ছাড়া, এলাকার আলু চাষিরা লাভের আশায় গুদামে আলু রেখে বের করে নেওয়ার সময়ে যথার্থ মূল্য পাচ্ছেন না।” তাঁদের দাবি, “নলহাটির বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চল এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতি যে রাস্তাগুলির উপরে টোল আদায় করছে তার পরিমাণ বার্ষিক ১ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকা। ওই টাকা যেন পাথরশিল্পাঞ্চল যাওয়ার রাস্তার কাজে খরচ করা হয়। পাশাপাশি বর্তমানে যে সব পাথর বোঝাই গাড়ির জন্য রাজস্ব আদায় করা হচ্ছে তা এক ধাপে তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। গাড়ির মালিকেরা ওই পরিমাণ টাকা দিতে পারছেন না।” যুগ্ম বিডিও কৃষ্ণেন্দু দাস বলেন, “দাবিগুলি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে।” |