পুরসভার দু’টি প্রেক্ষাগৃহেই কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই আসানসোলে। বৃহস্পতিবার প্রেক্ষাগৃহ দু’টি পরিদর্শনের পরে এ কথা জানিয়েছেন দমকলের আসানসোল বিভাগের ওসি সেলিম জাভেদ। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিচ্ছেন তিনি। আসানসোলের মেয়র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, দমকলের পরামর্শ মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আসানসোলের বিএনআর মোড়ের কাছে রয়েছে পুরসভার রবীন্দ্রভবন প্রেক্ষাগৃহ। সম্প্রীতি প্রেক্ষাগৃহটি রয়েছে বার্নপুর ত্রিবেণী মোড়ের কাছে। দু’টিতেই বাতানুকূল ব্যবস্থা আছে। সম্প্রীতি প্রেক্ষাগৃহে প্রায় সাতশো এবং রবীন্দ্রভবনে প্রায় ন’শো শ্রোতা-দর্শক এক সঙ্গে অনুষ্ঠান দেখতে পারেন। এ দিন এই দু’জায়গায় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে যান দমকলের ওসি। পরিদর্শনের পরে তিনি বলেন, “প্রেক্ষাগৃহগুলিতে আগুন লাগলে বিপর্যয় মোকাবিলার কোনও ব্যবস্থা নেই।” |
ভাগ্যের ভরসাতেই চলছে রবীন্দ্র ভবন। আসানসোলে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
আসানসোল পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্নপুরের সম্প্রীতি প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠান তুলনামূলক ভাবে কম হলেও রবীন্দ্র ভবনে প্রায় দিনই নানা অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া হয়। সেলিম জাভেদ জানান, আগুন লাগলে নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় একটি জলাধারও নেই। কোথাও অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রের দেখা মেলেনি। এই প্রেক্ষাগৃহের উপরের তলায় কয়েকটি পরিবারের বাস। গ্যাস জ্বালিয়ে রান্নাবান্নাও হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রবীন্দ্রভবন ব্যবহৃত হলেও পুর কর্তৃপক্ষ কেন কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। দমকলের ওসি আরও জানান, পুরসভার কয়েকটি বরো অফিসও তাঁরা পরিদর্শন করেছেন। সেখানেও কোনও অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা নেই।
পরিদর্শনের পরে দমকলের ওসি পুর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহের কাছে একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার বানাতে হবে। চার দিকে জলের পাইপলাইন বসাতে হবে। পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র বসাতে হবে। এ ব্যাপারে মেয়র তাপসবাবু বলেন, “প্রেক্ষাগৃহ দু’টি আমাদের আমলে তৈরি হয়নি। বস্তুত, পুরসভার কোনও ভবনই আমাদের সময়ে গড়া হয়নি। তাই কেন সেগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা করা হয়নি, তা আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয়।” তিনি জানান, দমকল কর্তৃপক্ষের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |