২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক পরীক্ষা থাকায় ওই দিনের প্রস্তাবিত সাধারণ ধর্মঘট থেকে পশ্চিমবঙ্গে পরিবহণকে ছাড় দেওয়া উচিত বলে মনে করে এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসি।
শ্রমিকস্বার্থের পাঁচ দফা দাবিতে যে ১১টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছে, এআইইউটিইউসি তাদের অন্যতম। তাদের বক্তব্য, ওই দিন নির্ধারিত মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা রাজ্য সরকারের অন্য দিন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তারা তা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এমতাবস্থায় ১১ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে উদ্বেগে না রেখে অবিলম্বে ওই ধর্মঘট থেকে পশ্চিমবঙ্গের পরিবহণকে ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করা উচিত। এই আর্জি জানিয়ে ধর্মঘটের আহ্বায়ক বাকি ১০টি শ্রমিক সংগঠনকে বৃহস্পতিবার চিঠি দিয়েছেন এআইইউটিইউসি-র সাধারণ সম্পাদক শঙ্কর সাহা।
শঙ্করবাবু বলেন, “বামফ্রন্ট জমানাতেও বহু সময়েই ধর্মঘটের জন্য পরীক্ষার দিন বদলানো হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারও বামফ্রন্টের নীতি মেনেই ধর্মঘটের জন্য পরীক্ষার দিন বদলাবে না বলে জানিয়েছে। এখন আমরা ধর্মঘটের আহ্বায়করাও অবস্থানে অনড় থেকে আরও কিছু দিন সরকারের সঙ্গে দর কষাকষি করলে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও তত দিন উদ্বেগে ভুগবেন। সেটা ঠিক নয়।”
বস্তুত, মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন ধর্মঘট ডাকায় জনমানসে ওই ১১টি শ্রমিক সংগঠন সম্পর্কে ‘নেতিবাচক’ মনোভাব তৈরি হয়েছে। শঙ্করবাবুর কথা থেকে স্পষ্ট, তার দায় থেকে এআইইউটিইউসি-কে মুক্ত করার জন্যই তাঁরা ওই ধর্মঘট থেকে এ রাজ্যে পরিবহণকে ছাড় দেওয়ার কথা বলছেন।
কিন্তু তাঁরা ধর্মঘটের দিন বদলাচ্ছেন না কেন? শঙ্করবাবুর জবাব, “সর্বভারতীয় স্তরে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে বলেই তার দিন বদলানো যাচ্ছে না। শুধু এ রাজ্যের ব্যাপার হলে বদলানো যেত।” তবে এ রাজ্যে পরিবহণকে ছাড় দিলেও ধর্মঘট ‘সফল’ হবে বলেই শঙ্করবাবুর অভিমত। |