রাজ্যের তাঁতশিল্পের সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে শান্তিপুরে ‘অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হ্যান্ডলুম টেকনোলজি’ খোলার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিল কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।
রাজ্যের নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেই শান্তিপুরে ওই প্রতিষ্ঠান গড়তে কেন্দ্রকে আর্জি জানিয়েছিল। সেই ব্যাপারেই আজ কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী আনন্দ শর্মার সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের বস্ত্র ও সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। তিনি বলেন, “কেন্দ্র শান্তিপুরে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি গড়তে রাজি হয়েছে। জমিও দেখা হয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রের লিখিত ছাড়পত্র পেলেই কাজ শুরু হবে।” রাজ্য সরকার সূত্রে বলা হচ্ছে, তাঁতশিল্পীদের আধুনিক প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ওই প্রতিষ্ঠানে। শান্তিপুর ছাড়া দেশের আরও পাঁচটি জায়গাতে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
তাঁতশিল্পের উৎকর্ষবৃদ্ধির বিষয়টির পাশাপাশি মালদহ-মুর্শিদাবাদের নদী ভাঙন নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদমন্ত্রী পবন বনশলের সঙ্গে আজ কথা বলেন মানসবাবু। বনশলের সঙ্গে বৈঠকে ছিলেন অধীর চৌধুরী, মৌসম নুর-সহ কয়েক জন কংগ্রেস সাংসদও। মানসের দাবি, ভাঙন রুখতে ফরাক্কা ব্যারেজ প্রকল্পের আওতায় রতুয়া-ভূতনির চর থেকে পলাশি এই বিস্তীর্ণ এলাকাকে নিয়ে আসা হোক। ১৮ তারিখে ফের দিল্লিতে বৈঠকে বসবেন বনশল ও মানস। বৈঠকে প্রণববাবুরও থাকার কথা। বনশলের কাছে রাজ্যে বন্যা রুখতে ডিভিসি-র বাঁধগুলির আধুনিকীকরণ ও জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির আর্জিও জানান মানসবাবু। গত রাতে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের কাছেও একই আর্জি জানান তিনি। সেচমন্ত্রীর মতে, পলি পড়ে বিভিন্ন জলাধারের জলধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় অল্প বৃষ্টি হলেই জল ছাড়তে বাধ্য হয় ডিভিসি। যা বন্যার অন্যতম কারণ। তাই রাজ্যের তরফে ডিভিসি-র জলাধারগুলি থেকে পলি তোলার আর্জি জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। আগামী বৈঠকে এই বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা। |