টুকরো খবর
জটমুক্ত জমি ছাড়া আর রাস্তা গড়তে চায় না রাজ্য
শুধু শিল্প নয়, রাস্তার কাজেও অনেক ক্ষেত্রেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে জমির সমস্যা। এই অবস্থায় জটিলতা থেকে মুক্ত জমি না-পেলে রাজ্য সরকার আর নতুন রাস্তাঘাটের কাজে হাত দেবে না বলে জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী সুব্রত বক্সী। বৃহস্পতিবার মহাকরণে পূর্তমন্ত্রী বলেন, এমনিতেই বামফ্রন্ট সরকার রাস্তাঘাটের মেরামতি বাবদ প্রদেয় টাকা বিপুল পরিমাণে বকেয়া রেখে যাওয়ায় রাস্তা সারানোর জন্য কোনও নির্মাণ সংস্থা এখন রাজ্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে চাইছে না। অভিজ্ঞতা থেকে রাজ্য সরকার দেখেছে, কোনও কারণে জমি নিয়ে সমস্যায় রাস্তা তৈরির কাজ আটকে গেলেও ঠিকাদার সংস্থাকে চুক্তিমতো তাদের পুরো টাকা মিটিয়ে দিতে হচ্ছে। এমনকী নির্দিষ্ট সময়ে কাজ শেষ করতে না-পারায় সালিশির মাধ্যমে বাড়তি অর্থদণ্ডও দিতে হচ্ছে সরকারকে। রাজ্যের আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে আর টাকার অপচয় করা যাবে না বলে পূর্তমন্ত্রী জানান। নাগেরবাজারে রাস্তার কাজ করতে গিয়ে মাঝপথে জমির সমস্যা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার কামালগাজিতেও রাস্তার কাজে জমির জট রয়েছে। ১১টি অনগ্রসর জেলার উন্নয়নে কেন্দ্র সদ্য ৮৭৫০ কোটি টাকার বিশেষ অনুদান মঞ্জুর করেছে। তার মধ্যে ওই সব জেলার রাস্তা উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও নতুন রাস্তা তৈরির কাজও হবে। ওই ১১টি জেলায় সেই সব রাস্তা তৈরির বা উন্নয়নের কাজেই রাজ্য হাত দেবে, যেখানে জমি নিয়ে বিরোধ নেই। ওই ১১টি জেলা হল জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর আর উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদহ।

হিমঘর খালি করতে আলু মিড-ডে মিলে
হিমঘর থেকে আলু খালি করতে স্কুলশিক্ষা দফতরকে তা যতটা সম্ভব মিড-ডে মিলে ব্যবহার করে ফেলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার মহাকরণে এ কথা জানান রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী অরূপ রায়। নতুন আলু জমা করতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে হিমঘরগুলি খালি করে ফেলতে হবে। তাই রফতানিতেও উৎসাহ দিতে ভর্তুকি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ দিন মহাকরণে মন্ত্রী জানান, রাজ্যে প্রতি বছর গড়ে ৯০ লক্ষ মেট্রিক টন আলুর ফলন হয়। গত বছর তা বেড়ে ১২০ লক্ষ মেট্রিক টন হয়। তার মধ্যে ১০ লক্ষ মেট্রিক টন এখনও হিমঘরে। সেগুলি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে খালি করে ফেলতে হবে। তা না হলে নতুন আলু হিমঘরে রাখা যাবে না। অরূপবাবু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে এই বিষয়ে নোট পাঠিয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের স্কুলশিক্ষা দফতরকে বাড়তি আলু মিড-ডে মিলের জন্য কেনার নির্দেশ দেন।” কৃষি বিপণন দফতর আলু রফতানির জন্য ভর্তুকি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “বেনফেড-এর অ্যাকাউন্টে ১০ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা রয়েছে। তা থেকেই ভর্তুকির খরচ বহন করা হবে।”

স্কুল পাঠ্যক্রম কমিটির নয়া চেয়ারম্যান
স্কুল পাঠ্যক্রম কমিটির নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্যের শিক্ষক অভীক মজুমদার। তিনি এই কমিটির সাধারণ সদস্য ছিলেন। আজ, শুক্রবার থেকে তাঁকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। স্কুলশিক্ষা পাঠ্যক্রম কমিটির প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন সুনন্দ সান্যাল। কিন্তু ওই কমিটি অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ধাপে ধাপে পাশ-ফেল তুলে দেওয়ার যে-সুপারিশ করেছে, তার সঙ্গে তিনি একমত হতে পারেননি। মূলত এই কারণেই তিনি পাঠ্যক্রম কমিটি থেকে পদত্যাগ করেন। চেয়ারম্যান হিসেবে তো বটেই, এমনকী সদস্যপদ থেকেও ইস্তফা দেন ওই প্রবীণ শিক্ষক। নতুন চেয়ারম্যান মূলত কোন কোন কাজকে বেশি গুরুত্ব দেবেন? অভীকবাবু বৃহস্পতিবার বলেন, “পাঠ্যক্রম কমিটি একটি খসড়া রিপোর্ট দিয়েছে। এ বার এই ব্যাপারে শিক্ষক, অভিভাবক-সহ সকলের মতামত জানতে চাওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ওই রিপোর্টে তাঁদের কিছু কিছু মতামত ঢুকিয়ে পরিবর্তন করা হতে পারে। তা ছাড়া একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রম নিয়ে কাজ শুরুই হয়নি। আপাতত এই সব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হবে।” পাঠ্যক্রম চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পরে বই তৈরির ব্যাপারেও কমিটি সহায়তা করবে বলে জানান অভীকবাবু।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.