|
|
|
|
|
|
|
পর্দার বাইরে মানালি দে-র মুখোমুখি হলেন পথিক পণ্ডিত |
দেখতে সুন্দরী। নিশ্চয়ই প্রচুর প্রেমের প্রোপোজাল পান?
(হি হি হি হাসি) প্রচুর! এখনও। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে প্রেমের প্রস্তাব আসে। তবে কাছের বন্ধুদের কাছ থেকে কোনও দিনও পাইনি। বন্ধুরা বলে, তুই আবার মেয়ে নাকি! তবে আমি এই মুহূর্তে এক জনকে মন দিয়ে ফেলেছি। ওকেই বিয়ে করতে চাই।
কবে নাগাদ বিয়েটা করছেন?
মানালি: সেটা এখনও জানানোর সময় হয়নি। তবে সময় হলেই জানিয়ে দেব।
আপনি নাকি টলিউডের দ্বিতীয় ‘জয়া ভাদুড়ী’? এ রকম কমপ্লিমেন্ট শুনতে ভাল লাগে?
মানালি: (হি হি হি হাসি) শুনতে কার না ভাল লাগে? এ রকম যদি কেউ বলে থাকেন, তবে সেটা আমার কাছে বিরাট বড় কমপ্লিমেন্ট। তবে বলে রাখি, আমি ওঁর নখের যোগ্যও নই। এখনও অনেক শেখা বাকি, অনেক ইমপ্রুভ করতে হবে।
‘মানালি’ নামের মানে কী? নামটা কে দিয়েছিলেন?
মানালি: মানালি নামটা বাবাই রেখেছিলেন। নামের কোনও মানে জানা নেই। তবে এটা একটা জায়গার নাম।
ছোটবেলা কোথায়, কেমন কেটেছে?
মানালি: ছোটবেলা আমাদের পিকনিক গার্ডেনের বাড়িতেই কেটেছে। আর পাঁচটা মেয়ের যেমন ছোটবেলাটা কাটে, আমারও একই রকম কেটেছে, পড়াশোনা, খেলাধুলা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা।
পড়াশোনা? পরিবারে কে কে আছেন?
মানালি: অক্সফোর্ড হাউস থেকে মাধ্যমিক। তার পর প্রাইভেটে ওপেন বোর্ডে অমৃত অ্যাকাডেমিতে ভর্তি হয়েছি। টুয়েলভের এক্সাজামটা শুটিংয়ের চাপে এখনও দেওয়া হয়ে ওঠেনি। পরিবারে অনেকেই আছেন, তবে আমি বাবা-মা-দাদুর সঙ্গে থাকি। বাকিরা বাইরে থাকেন। আমি একমাত্র সন্তান।
অভিনয় শিখেছেন কারও কাছে?
মানালি: না। কারও কাছে অভিনয় শিখিনি। তবে ছোট থেকে বিনোদন জগতে আসব ভেবে রেখেছিলাম। সেই কারণেই মা মণীষা দে-র কাছে খুব ছোট্ট থেকে নাচ শিখেছি। পরে মধুমিতা রায়ের কাছেও নাচ শিখেছি। তবে কন্টিনিউ করিনি। কারণ, অভিনয়টাকেই আমি বরাবর প্রাধান্য দিয়ে এসেছি।
অভিনয়ে কী ভাবে এলেন?
মানালি: ছোট থেকে অভিনয়ে আসার ইচ্ছেটা তো ছিলই। তা ছাড়া বাবা-মার কাছে বিনোদন জগতের লোকজন আসতেন। বাবা নিতাই দে মিউজিক্যাল লাইনেই আছেন। এরই মধ্যে সুযোগ আসে ‘উনিশ কুড়ি’ ম্যাগাজিনে মডেলিং-এর। এই করতে করতেই রবি ওঝার প্রোডাকশন হাউস থেকে ফোন করা হল একটি কাজের জন্য। সিরিয়ালটির নাম ‘নীড় ভাঙা ঝড়’। তার পর ‘মোহনা’। এখন তো ‘বউ কথা কও’-এ অভিনয় করছি।
অভিনেত্রী না হলে, কী হতেন?
মানালি: (হাসি) এটা বলা খুব মুশকিল। কারণ, আমি নিজেও জানি না কী করতাম। হয়তো, মায়ের মতো নৃত্যশিল্পী হতাম।
কোনও দিন যদি অভিনয় ছাড়তে হয়, তখন কী করবেন?
মানালি: কিচ্ছুটি করব না। খালি ঘুমোব আর বাড়িতে বসে খাবদাব কলকলাব।
পর্দায় কোন জিনিসটা কোনও দিন করবেন না?
মানালি: (একটু ভেবে) সব জিনিসই তো কমবেশি ট্রাই করেছি। তাই এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব মুশকিল। তবে এটা বলতে পারি গানটা কোনও দিনও করব না, কারণ লোকজন শুনে ভয় পেয়ে যাবে।
অভিনয়ে এলেন, বাড়ি থেকে আপত্তি আসেনি?
মানালি: আপত্তি তো আসেইনি বরং ভীষণ সাপোর্ট পেয়েছি। বাবা বলে দিয়েছিলেন, যেটা করবে সেটা মন দিয়ে কোরো। তা সেটা রানার হও বা রাঁধুনি! কখনও বলেনি, ফার্স্ট বা সেকেন্ড হতে হবে।
আপনাকে তো রবি ওঝার ‘বউ কথা কও’ সিরিয়াল ছাড়া অন্যদের কোনও সিরিয়ালে দেখা যায় না। অন্যদের সিরিয়াল করবেন না ঠিক করেছেন নাকি?
মানালি: না, না, তা কেন। এই মুহূর্তে কনট্রাক্টে আছি তো। তাই অন্য কোনও সিরিয়াল করছি না।
বড় পর্দাতেও তো সে ভাবে আপনাকে দেখা যায় না। সেই ‘অচিন পাখি’র পর আপনার সামনে কি বড় পর্দার ‘পর্দা’ পড়ে গিয়েছে?
মানালি: বড় পর্দায় অভিনয়ের জন্য অফার পাচ্ছি, কিন্তু করছি না। কারণ, যে ক’টা অফার আসছে সবই শাড়ি পরা গ্রামের মেয়ের চরিত্র। তাই ‘না’ করে দিচ্ছি। ভাল চরিত্র না পেলে, ভাল প্রোডাকশন না পেলে আমি করব না ঠিক করেছি। আর ‘পর্দা’ কেন পড়তে যাবে। আমি সিলেকটেড ছবি করতে চাই। যেহেতু আমার ওপর মানুষজনের এক্সপেক্টেশন বেড়ে গিয়েছে। তাই অন্য রকম চরিত্র করতে চাই। ‘অচিন পাখি’ হিট হয়নি ঠিকই, কিন্তু বেস্ট ডেবিউ পেয়েছি।
অভিনয়ে ফার্স্ট ব্রেক?
মানালি: ‘কালী আমার মা’-তে চাইল্ড আর্টিস্ট হিসেবে কাজ করেছি।
কেমন মিউজিক পছন্দ করেন?
মানালি: সব রকমের মিউজিকই আমার পছন্দ। তবে সেটা সিচুয়েশন এবং মুডের ওপর ডিপেন্ড করে।
জীবনে কোনও আক্ষেপ আছে?
মানালি: হ্যা। উচ্চতা। আমি লম্বা নই বলে খুব আক্ষেপ হয়। এখনও মাঝে মাঝে ভাবি, আর একটু লম্বা হলাম না কেন।
ইন্ডাস্ট্রিতে কোনও খারাপ অভিজ্ঞতা?
মানালি: না, তেমন নেই। তা ছাড়া আমি নিজের মতো থাকি, কাজটা ঠিকঠাক করি। ব্যস।
আপনার কেরিয়ারের স্ট্র্যাটেজি কী?
মানালি: কখনও ভেবে কিছু এগোইনি। তবে ভাল কাজ করতে চাই। |
|
|
• খুচরো বাণিজ্যে বিদেশি পুঁজির বিরোধিতার পরে বিজেপি নাকি এখন লোকসভায় ‘দিদি’ বলতে অজ্ঞান। বোঝাই যাচ্ছে শরৎচন্দ্র বেঁচে থাকলে ‘রামের সুমতি’ উপন্যাসটি একটু বদলে লিখতে হত!
অনুকূল পাল। শিলচর
• প্রকাশ কারাট নাকি মমতার প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হয়ে পড়েছেন। দিদি সাবধান! উনি কিন্তু দু’দিকেই কাটেন!
সোনালি ভট্ট। কামারপাড়া
• সারা দেশে এখন পাইকারি হারে খুচরো সমস্যা চলছে!
রবীন্দ্রনাথ সরকার। সোনারপুর
• 4 এফ ডি আই মানে ফড়ে দিনের ইতি!
শ্রবণা সেনগুপ্ত।
• রাজারহাটের সিন্ডিকেটগুলো প্রয়োজনে কখনও সিপিএম, কখনও তৃণমূল। বোঝা যাচ্ছে রাজারহাটে সম্পূর্ণ ভাবে ‘মা-মাটি-মানুষ’-এর সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখানে এরা ‘মাটি’ বলতে ‘সিমেন্ট-বালি’ বোঝে!
গুপি। গুপ্তিপাড়া
• মগরাহাটের পর পুলিশ প্রশাসনের কণ্ঠে একটাই গান: যত বার আলো নিভাতে চাই, জ্বলে যাই বারে বারে!
অতিবিপ্লবী। বড়িশা
• উপনির্বাচনে সুব্রত বক্সী জয়ী হওয়ার পর বোঝা গেল ‘দক্ষিণ কলকাতা’ ‘বাম’দিকে একচুলও সরেনি!
তেলামাথা। কলকাতা-৮৬
• সিনেমা দর্শকদের ‘দেব আনন্দ’ গ্যারান্টি দেওয়ার লোক একটা কমে গেল!
অনুপম সরকার। মেদিয়া
• বাংলা দলের রঞ্জি ট্রফি ম্যাচে ফিল্ডিং দেখেই বোঝা যাচ্ছে, আমরা ক্যাচালে যত ভাল, ক্যাচে ততটা নই!
লাবণী চট্টোপাধ্যায়।
• বাংলা দলের জোয়ান বয়সি ক্রিকেটাররা হাতে বল এলেও ফেলে দিচ্ছে। তাই নিয়ে সবাই অবাক কেন হচ্ছেন বোঝা যাচ্ছে না। আসলে এই বয়েসের ছেলেরা ‘মিস’দেরই যে বেশি ভালবাসবে, সেটাই তো এই বয়েসের স্বভাব-ধর্ম!
পিকলু সেন। পাটুলি
ক: শীতকালে বিছানায় বসে যে ছোট কম্পিউটারগুলোতে কাজ করা যায়, তাদের কী বলে বল তো?
খ: কী আবার বলবে? ওগুলো তো ল্যাপটপ।
ক: দূর বাঙাল! শীতে কথাটা লেপ-টপ!
প্রতীপ পাল। কামারহাটি |
|
|
|
সত্যি কী অসাধারণ কেয়ার!
রোহন মাঠে কাতরাচ্ছেন, ছুটে আসছে চেয়ার।
আর কোনও ব্যবস্থা নেই আহতদের নেয়ার!
এটা নাকি ভুল নয়, এটাই বন্দোবস্ত।
বোঝা যাচ্ছে ইডেনে কেন সূর্য গেছে অস্ত।
ঘুঁটের মালায় হবে না লজ্জা
সিএবি ভাববে এটাও সজ্জা! |
|
|
|
|
সুষির রায় |
১৯৭৭ সাল। দিল্লিতে জনতা সরকার। মোরারজি দেশাই প্রধানমন্ত্রী। আমি একটি অ্যালুমিনিয়াম সংস্থায় চাকরির সুবাদে দিল্লিতে। পশ্চিমবঙ্গের এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তখন জনতা দলের সাংসদ। থাকেন ডুপ্লে রোডের সাংসদ বাংলোতে। আমরা প্রবাসী বাঙালি সমাজ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে পেয়ে মহা খুশি। সকাল বিকেল নানা স্তরের বাঙালির মহাতীর্থ। আমার প্রতিদিনই প্রায় ওই বাড়িতে যাওয়া আসা।
ইতিমধ্যে বাজেট ঘোষণায় গরিব মানুষের অ্যালুমিনিয়ামের বাসন-কোসন থেকে উৎপাদন শুল্ক তুলে নেওয়া হল। কলকাতার প্রধান দু’টি এনামেল কোম্পানি থেকে গিয়ে আমরাও ধরলাম তাঁকে। উনি বুঝলেন দাবি সঙ্গত। এনামেলের বাসন গরিব মুসলমান পরিবারে নিত্য প্রয়োজন। তা ছাড়া ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রয়োজনীয় এনামেলের মগ ও জলের বোতল তো আছেই। উনি বললেন, আমি ছাড়াও তো আরও ৪১ জন সাংসদ আছেন। তাঁদেরও তো বোঝাতে হবে। উনি পরামর্শ দিলেন মার্ক্সবাদী কমিউনিস্ট পার্টির নেতা জ্যোতির্ময় বসুকে গিয়ে ধরতে। শ্রীবসু তখন পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির প্রধান। গিয়ে বললাম, কপাল কুঁচকে তাকালেন। আমরা বললাম, আমাদের আপনার কাছেই আসতে বলা হয়েছে। উনি একটু হেসে জিজ্ঞেস করলেন, উনি নিজে বলেছেন? আমরা সব খুলে বললাম, কেন বাসনপত্রের দাম গরিবের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। উনি শুনে বললেন, আচ্ছা দেখি কী করা যায়। সেই থেকে এনামেলের বাসনের ওপর আর উৎপাদন শুল্ক ধার্য করা হয়নি। জ্যোতির্ময় বসুর কাছে সে-দিন আমাদের পাঠিয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় প্রফুল্লচন্দ্র সেন। আজ ভাবি এই সম্প্রীতির, পারস্পরিক শ্রদ্ধার পরিবেশ কী ভাবে বাংলার রাজনীতি থেকে হারিয়ে গেল! |
|
|
ফেসবুক, গুগল বিতর্কের শেষে
কপিল সিব্বল ‘ইয়াহু’ বলতে পারবেন তো?
সৈকত বণিক, চুঁচুড়া |
|
|
|
|
ক্ষমা চাইছি |
|
তখন স্কুলে পড়ি। বড় মিষ্টির বাক্স হাতে অফিস থেকে বাবা ফিরলেন। পরের দিন বাবা-মা যাবেন ওঁদের গুরুদেবের কাছে দীক্ষা নিতে। সুযোগমত চুপিচুপি মিষ্টির বাক্সটা খুলে তার থেকে দুটো তালশাঁস সন্দেশ তুলে নিলাম এবং বাক্সটা যেমন ছিল, সেই ভাবেই রেখে দিলাম। পরের দিন বেরোবার আগে মা ক’টা সন্দেশ আছে গুনতে বসে দেখলেন ১৮টি আছে। মা’র মনে সন্দেহ হল। বাবার কাছে জানতে চাইলেন ক’টা সন্দেশ ছিল। বাবা জানালেন ২০টি। মা বললেন ১৮টি আছে কেন? বাবা তো রেগে লাল। যা-ই হোক, ওই ১৮টি সন্দেশ নিয়েই চলে গেলেন। আমিও চেপে গেলাম। পরের দিন অফিস যাওয়ার পথে বাবা ওই মিষ্টি দোকানটির মালিককে ব্যাপারটা বলায় উনি ওঁর নির্দোষ কর্মচারীদের ভর্ৎসনা করলেন এবং বাবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। আমি আজ ওঁদের সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি। দুঃখের বিষয় দোকানটা বেশ কয়েক বছর আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
উজ্জ্বল ভট্টাচার্য
উত্তর ২৪ পরগনা |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ |
|
|
|
|
|
|