আগুনের বিভীষিকার সঙ্গে সঙ্গে অন্য একটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়েছিল শুক্রবার সকাল থেকে। তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্ক। পরীক্ষার পরে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্স বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা আশ্বাস দিলেন, ঢাকুরিয়ায় এএএমআরআই হাসপাতালের অগ্নিকাণ্ডের জেরে ওই ভবনে বা বাইরে কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি। |
আতঙ্কের মূলে ছিল আগুনের তাপে আমরি হাসপাতালের ‘রেডিয়েশন রুম’ থেকে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার গুজব। বলা হচ্ছিল, ওই হাসপাতালের দু’কিলোমিটারের মধ্যে যে-সব প্রসূতি আছেন, তাঁদের উপরে তেজস্ক্রিয়তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে। আশ্বাস মিলল দুপুরের দিকে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ডেপুটি ডিরেক্টর মুকেশকুমার বর্মা জানিয়ে দিলেন, হাসপাতালের ভিতরে ও বাইরে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এ দিন ৭০ জনের একটি দল নিয়ে ওই হাসপাতালে যান মুকেশকুমার। দু’টো দলে ভাগ হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে আলফা সার্ভে মিটার, গামা সার্ভে মিটার, টেলিট্র্যাক্টর ইত্যাদি যন্ত্রের দিয়ে হাসপাতালের ভিতরে-বাইরে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান তাঁরা। মুকেশকুমার পরে বলেন, “হাসপাতাল-চত্বরে কোনও তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছে কি না, সেটা দেখতেই এসেছি আমরা। তবে পরীক্ষায় কিছু পাওয়া যায়নি। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।” |