৮ জনকে বাঁচিয়ে মারা গেলেন কেরলের ২ নার্স
এমআরআই হাসপাতালে মারা গেলেন কেরলের কোট্টায়াম থেকে কাজ করতে আসা দুই নার্স। মারা যাওয়ার আগে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলেন ৮ রোগিণীকে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পি কে বিনীতা ও রেম্মা রাজন নামে ওই দুই নার্স মহিলা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। হাসপাতালের ডেপুটি নার্সিং সুপার মিস সুমিনি জানিয়েছেন, আগুন লাগার সময় ওই ওয়ার্ডে মোট ৯ জন রোগিণী ছিলেন। তার মধ্যে ৮ জনকে নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দিয়ে গিয়েছেন বিনীতা ও রেম্মা। নবম রোগিণীর পায়ে চোট ছিল। তাঁকেও উদ্ধারের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিলেন দু’জন। কিন্তু অত্যধিক তাপমাত্রা ও বিষাক্ত ধোঁয়ায় ওই রোগিণী মারা যান। আর রোগিণীদের নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেওয়ার পরই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ওই দুই নার্সও।
এ দিন ভোররাতে রেম্মা তাঁর মা ঊষাকে ফোন করে জানান, হাসপাতালে আগুন লেগেছে। বেরোতে পারবেন কি না বুঝতে পারছেন না। ফোন মাঝপথেই কেটে দিয়ে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। ঊষা জানিয়েছেন, পাঁচ বছর আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। অন্ধ্রপ্রদেশের একটি কলেজে নার্সিংয়ের পাঠ্যক্রম শেষ করে রেম্মা এএমআরআই হাসপাতালে কাজে যোগ দেন। এখানে কাজ করে পারিবারিক ঋণ শোধ করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হল না।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ওই পরিবারটি এলাকার সব চেয়ে গরিব পরিবার। দু-বছর আগেই চাকরি নিয়ে দুবাইয়ে গিয়েছেন রেম্মার ভাই রঞ্জিত। রেম্মাও নার্সের চাকরি নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন। ঊষাকে মেয়ের মৃত্যুর খবর দেননি প্রতিবেশীরা। জানানো হয়েছে, অগ্নিকাণ্ডে মারাত্মক জখম হয়েছেন রেম্মা। দিদির দেহ নিতে কলকাতায় এসেছেন ভাই রঞ্জিত।
আর এক মৃত নার্স বিনীতাও খুব গরিব বাড়ির মেয়ে। তাঁর মা মেরী এবং বাবা কুঞ্জুমন দু-জনেই দিনমজুরি খাটেন। মাত্রই দু-মাস আগে নার্সের চাকরি নিয়ে কলকাতায় আসেন বিনীতা। প্রথম মাসের বেতন থেকে জমিয়ে বাড়িতে টাকাও পাঠিয়েছিলেন। বাড়ির সকলে তা নিয়ে খুব খুশিও হয়েছিলেন। কিন্তু আনন্দ বেশি দিন রইল না। বিনীতার দেহ নিতে কলকাতায় এসেছেন তাঁর কাকা।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.