|
|
|
|
সাহায্য মিলবে, আশ্বাস প্রণবের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা ও নয়াদিল্লি |
ঢাকুরিয়ায় এএমআরআই হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত কোনও পরিবার কেন্দ্রের সাহায্যের জন্য আবেদন করলে সহায়তা করা হবে বলে আশ্বাস দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায়। শুক্রবার রাতে পোড়া হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়েই সাহায্যের কথা বলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদও। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
রাত সওয়া ১০টা নাগাদ বাইরে থেকেই পোড়া হাসপাতালটি দেখেন প্রণববাবু। তিনি বলেন, “যাঁরা চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন, তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি খুব মর্মান্তিক।” তাঁর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকা ইতিবাচক। মুখ্যমন্ত্রী সকাল থেকেই এখানে ছিলেন। সব কিছুর তদারক করেছেন। স্থানীয় কাউন্সিলর জানালেন, প্রথমে উদ্ধারকাজে এগিয়ে এসেছিলেন সাধারণ মানুষই। তাঁরা অনেক মানুষকে বাঁচিয়েছেন।”
অগ্নিকাণ্ডের পরেই ওই হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী যে-ভাবে দ্রুত ‘কড়া’ ব্যবস্থা নিয়েছেন, তাকে স্বাগত জানিয়ে গুলাম নবি বলেছেন, “এই ধরনের হাসপাতালকে কড়া বার্তা দেওয়ার খুব দরকার ছিল। কারণ, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল ও নার্সিংহোম গজিয়ে উঠছে। সেখানে দমকল যেতে পারে না। এই ঘটনা কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের কাছেই একটা শিক্ষা। এর পরে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমকে লাইসেন্স দেওয়ার আগে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা যেমন দেখে নেওয়া দরকার, তেমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটাও সুনিশ্চিত করতে হবে।”
মমতাকে লেখা চিঠিতে গুলাম নবি জানতে চেয়েছেন, দিল্লি থেকে ওষুধ, বিশেষজ্ঞ বা স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানোর প্রয়োজন আছে কি না। সাহায্যের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল এবং প্রতিষ্ঠান। ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে দ্রুত বিমার টাকা দিতে উদ্যোগী হয়েছে জীবন বিমা নিগম। যত শীঘ্র সম্ভব বিমার কাগজপত্র তৈরি করতে চালু করা হয়েছে হেল্প ডেস্ক। |
|
|
|
|
|