|
|
|
|
আইএমএ’র ভোটে জালিয়াতি, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
ভোটগ্রহণের আগেই বাক্সে জমা পড়ে গিয়েছে ব্যালট পেপার। এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) অন্দরে। আইএমএ-র রাজ্য কমিটির পদাধিকার নির্বাচনের জন্য গত ৭ ডিসেম্বর রাতে আইএমএ-র জলপাইগুড়ি জেলা শাখায় ভোটগ্রহণ করা হয়। অভিযোগ, সেদিন দুপুর নাগাদ জলপাইগুড়ি জেলার ব্যালট পেপার কলকাতার সদর দফতরে জমা পড়ে গিয়েছে। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভোটগ্রহণের পরে, গণনার জন্য ব্যালট পেপার কলকাতায় পাঠানো হবে। কিন্তু ভোটগ্রহণের আগেই কীভাবে ব্যালট পেপার জমা পড়ে গেল তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনের সদস্য চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির অভিযোগও উঠেছে। আইএমএ-র রাজ্য কমিটির নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মণীন্দ্রচন্দ্র বন্দোপাধ্যায় বলেন, “৭ ডিসেম্বর দুপুর বেলায় জলপাইগুড়ি জেলার ব্যালট পেপার পেয়েছি। আইএমএ-র জেলা শাখার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ভোটগ্রহণ হয়েছে ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যেবেলায়। জেলা এই ঘটনা জানিয়ে জেলা শাখার থেকে জাল ব্যালট পেপার জমা দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। আমরা দুটি ব্যালট পরীক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেব।” রাজ্যে ক্ষমতার পরিবর্তনের পরে চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন আইএমএ-র জলপাইগুড়ি জেলা শাখায় চিকিৎসকদের মধ্যে আড়াআড়ি বিভাজন ঘটেছে। জেলায় বামপন্থী মনোভাবাপন্ন চিকিৎসকরাই আইএমএ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সংগঠন সূত্রে জানানো হয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় আইএমএ-র জলপাইগুড়ি জেলা শাখায় যে ভোটগ্রহণ হয়েছে, তাতে বামপন্থী প্যানেলই জয়যুক্ত হয়েছে। তবে ভোটগ্রহণের আগেই ব্যালট পেপার জমা পড়ে যাওয়ায় নির্বাচনের ফলকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। আইএমএর জেলা শাখার সভাপতি পান্থ দাশগুপ্ত বলেন, “জলপাইগুড়ি জেলার পাঁচটি ভোট রয়েছে। এই ভোটকে কুক্ষিগত করতেই জাল ব্যালট পেপার তৈরি করে তা জমা দেওয়া হয়েছে। আমাদের দাবি গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দিতে হবে।” সংগঠনের রাজ্য কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর যে ব্যালট জমা পড়েছে তাতে আইএমএর জেলা কমিটির সম্পাদকের স্বাক্ষরও রয়েছে। যদিও জেলা কমিটির সম্পাদক দুলাল গোপ বলেন, “আমি একমাত্র সরকারি ব্যালটেই স্বাক্ষর করেছি। যেটি রাজ্যের কাছে পাঠানোই হয়নি। অন্য কোথাও যদি আমার সই থাকে তবে ধরে নিতে হবে যে সেটা জাল।” |
|
|
|
|
|