পাহাড়কে কেন্দ্রশাসিত করার দাবি কংগ্রেসের
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিটিএ) নিয়ে আপত্তি নেই দার্জিলিং জেলা কংগ্রেস (পাহাড়) কমিটির। কিন্তু, জিটিএ-র আওতায় ঠিকঠাকভাবে কাজ না হলে পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য দার্জিলিংকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করতে হবে বলে দাবি তুললেন পাহাড়ের কংগ্রেস নেতারা। শুক্রবার দুপুরে শিলিগুড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনের দলের তরফে এমন দাবি জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের দাবি কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী থেকে শুরু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরমকে জানানো হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জিটিএ চুক্তির আগে থেকেই পাহাড়ের কংগ্রেস নেতারা এই দাবি করছেন। তবে এবার তাঁরা একটি নতুন বিষয় সংযোজন করেছেন। পাহাড়ের কংগ্রেস নেতাদের বক্তব্য, “জিটিএ এলাকা নির্ণয়ের জন্য বিচারপতি শ্যামল সেনের নেতৃত্বে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরি হয়েছে। তরাই এবং ডুয়ার্সের এলাকা কতটা জিটিএ-র মধ্যে যাবে তা ঠিক হয়ে গেলেই, সেই এলাকা নিয়েই কেন্দ্র শাসিত এলাকা নির্ধারণ করা যেতে পারে।” জেলা কংগ্রেস (পাহাড়) সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ কৃষ্ণ বাহাদুর ছেত্রী বলেন, “আমরা জিটিএ চুক্তির বিরোধিতা করছি না। বিমল গুরুঙ্গদের আমরা কিছুদিন সময় দিতে চাই। জিটিএ আর পার্বত্য পরিষদ একই রকম। কিন্তু পাহাড়ের উন্নয়ন থমকে রয়েছে। কাগজে কলমে শান্তি এলে কাজ কিছুই হচ্ছে না। রাস্তাঘাট, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানের হাল খুবই খারাপ। তাই আমরা বলছি কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলই পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধান।” ইতিমধ্যে আরেক দফায় এই দাবি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশাপাশি সনিয়া গাঁধীকে জানানো হয়েছে বলে কৃষ্ণ বাহাদুর ছেত্রী জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের সমর্থনে কয়েকটি যুক্তিও দিয়েছেন পাহাড়ের কংগ্রেস নেতারা। দলের পাহাড় কমিটির সহ-সভাপতি সরোজ ক্ষত্রি বলেন, “কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ঘোষণা হলে এলাকায় আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব পুরোপুরি কেন্দ্রের হাতে থাকবে। আন্তর্জাতিক সীমান্ত ঘেরা দার্জিলিঙের মত স্পর্শকাতর এলাকায় তা খুবই জরুরি। এ ছাড়া উন্নয়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি বরাদ্দ করবে। দার্জিলিঙের চেহারা তাতেই পাল্টাবে।” দলীয় সূত্রের খবর, গত মাসের শেষ সপ্তাহেই পাহাড়ের কংগ্রেস নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল দিল্লি গিয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। স্বরাষ্ট্র দফতর ছাড়াও কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী, রেলমন্ত্রী এবং তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁরা দেখা করেন। সরোজবাবু জানান, পাহাড়ের রাস্তাঘাটের অবস্থা খুবই করুণ। ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক দেড় বছর ধরে বন্ধ। রোহিণী রোড ছাড়াও বাকিগুলির অবস্থা তথৈবচ। এরজন্য পূর্বতন বাম সরকারের পাশাপাশি কমবেশি কেন্দ্রীয় সরকারও দায়ী বলে ওই কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ। বেশিভাড়া দিয়ে বাসিন্দাদের ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পাহাড়ের আরেক কংগ্রেস নেতা সুরেন্দ্র পারেখ জানান, ওর্য়াল্ড হেরিটেজ হিসাবে স্বীকৃত টয়ট্রেন রাস্তায় জন্য বন্ধ রয়েছে। কার্শিয়াঙে রেলের ছাপাখানা এবং তিনধারিয়া লোকশেডে বহু পদ শূন্য পড়ে রয়েছে। পাহাড়ে হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো কার্যত নেই। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীর পদ ফাঁকা পড়ে রয়েছে। পাহাড়ের তিন মহকুমায় তিন মহকুমায় এখনও জল কিনে খেতে হচ্ছে। বালাসন জলপ্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.