টুকরো খবর
ঝাড়গ্রাম কলেজে টিএমসিপি-এসএফআই সংঘাত
শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম রাজ কলেজের সামনে এসএফআইয়ের সদস্যদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, টিএমসিপি’র নেতৃত্বে একদল বহিরাগত যুবক কলেজের কাছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা এসএফআইয়ের সদস্য-সমর্থকদের উপর চড়াও হয়। মারধরে জখম হন এসএফআইয়ের ঝাড়গ্রাম শহর জোনাল-সম্পাদক সৌমেন মাহাতো। তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় শহরে ধিক্কার-মিছিল বার করে এসএফআই-সহ বাম ছাত্র সংগঠনগুলি। সন্ধ্যায় কিছুক্ষণের জন্য পাঁচমাথার মোড়ে পথ-অবরোধও হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত রাজ কলেজের ছাত্র সংসদের ক্ষমতায় ছিল এসএফআইয়ের নেতৃত্বাধীন ‘বাম ছাত্র ঐক্য’। জঙ্গলমহলে অশান্তির কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পরে আগামী ২০ ডিসেম্বর ফের সংসদের নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগে ১২, ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র তোলা ও জমার দন। মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন ১৫ ডিসেম্বর। নির্বাচন এগিয়ে আসায় টিএমসিপি এবং বাম ছাত্র সংগঠনগুলির সংঘাত বাড়ছে। এ দিনের হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপি-র জেলা সভাপতি লোকেশ কর অবশ্য বলেন, “হার নিশ্চিত বুঝে এসএফআই মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

বাস থামিয়ে লুঠপাট কাঁটাপাহাড়িতে
যাত্রীবাহী বাস থামিয়ে লুঠপাট চালাল সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। বৃহস্পতিবার রাতে এমনই ঘটল লালগড়ের কাঁটাপাহাড়ি অঞ্চলের লকাটে। হাওড়া থেকে লালগড় হয়ে সারেঙ্গা যাওয়ার বেসরকারি বাসটিতে জনা ৩৫ যাত্রী ছিলেন। লালগড় ছেড়ে বাসটি খাসজঙ্গল যাচ্ছিল। কাঁটাপাহাড়ি পেরোনোর পর লকাটের কাছে রাস্তায় গাছের গুঁড়ি পড়ে থাকায় বাস থামাতে বাধ্য হন চালক। জনা সাতেক সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাসে উঠে পড়ে। মারধর করে যাত্রীদের নগদ টাকা, মোবাইল ফোন-সহ যথাসর্বস্ব কেড়ে নেয় তারা। ওই সময় রামগড়গামী একটি মারুতি গাড়িও সেখানে এসে পড়লে ওই গাড়ির আরোহীদেরও নগদ টাকা ও মোবাইল লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। পরে বাসের যাত্রীরা রামগড় ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ জানান। ঘটনাস্থলের অদূরেই কাঁটাপাহাড়িতে রয়েছে যৌথ বাহিনীর ক্যাম্প। তা সত্ত্বেও কী ভাবে কাঁটাপাহাড়ি-রামগড় পিচরাস্তার উপর এ ধরনের দুষ্কর্ম চলছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন যাত্রীরা। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বাস-ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক মাইতি বলেন, “যাত্রীস্বার্থের কথা ভেবেই জঙ্গলমহলে হাওড়া-সারেঙ্গা রুটের ওই বাসটি চালানো বন্ধ করা হচ্ছে না। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসন যথাযথ নিরাপত্তার ব্যবস্থা না করলে জঙ্গলমহলে রাতের বাস চালানো বন্ধ করতে আমরা বাধ্য হব।” পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশের এক আধিকারিকের অবশ্য দাবি, “বিক্ষিপ্ত একটি ঘটনাকে দিয়ে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিচার করা ঠিক নয়। এলাকার সর্বত্র নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।”

পুনর্বাসনের দাবি, বিক্ষোভ দেউলিয়ায়
ডানকুনি-খড়্গপুর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। এমনই দাবিতে শুক্রবার দেউলিয়া বাজারে অবস্থান-বিক্ষোভ করেছে কোলাঘাটের দেউলিয়া বাজার ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতি। বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন বাজারের বহু ব্যবসায়ী। দেউলিয়া ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির তরফে ব্লক প্রশাসনকে দাবি-সম্বলিত স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। ডানকুনি থেকে খড়্গপুর পর্যন্ত ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ছয় লেন করার জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হবে তাতে দেউলিয়া বাজার এলাকার জমি মালিক-সহ ৩১১ জন ব্যবসায়ীকে উঠে যেতে হবে। ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির দাবি, উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। আর এই বাজার এলাকায় দুর্ঘটনা রুখতে দেউলিয়া থেকে পুলশিটা রাস্তায় ওভারব্রিজ তৈরি করতে হবে। কোলাঘাট ও পাঁশকুড়ায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিজ্ঞপ্তির পর এখন জেলা জমি অধিগ্রহণ দফতরে জমি মালিকদের শুনানি চলছে। এই পরিস্থিতিতে পাঁশকুড়ার মেচগ্রাম এলাকার জমি-মালিক কৃষকেরা পুনর্বাসন প্যাকেজ ঘোষণার দাবিতে কয়েক দিন আগে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিলেন।

কঙ্কাল-কাণ্ডে রাজসাক্ষী নিয়ে শুনানি পিছোল
ফের পিছিয়ে গেল দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে রাজসাক্ষী নিয়ে শুনানি। আগামী ২৩ ডিসেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য হয়েছে। এর আগেও একাধিক বার শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এই মামলায় গত ২৩ সেপ্টেম্বর মোট ৫৮ জন সিপিএম নেতা-কর্মীর নামে চার্জশিট দিয়েছে সিআইডি। তাঁদের মধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ-সহ আপাতত ১৯ জন জেলবন্দি। বাকি ৩৯ জন ‘ফেরার’। আদালতের নির্দেশে ‘ফেরার’দের অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজও শুরু হয়েছে। অন্য দিকে, কঙ্কাল-কাণ্ডে বন্দি সিপিএম কর্মী মদন সাঁতরা ও বৈদ্যনাথ সাঁতরাকে ‘রাজসাক্ষী’ করতে চেয়ে অনেক আগেই মেদিনীপুর সিজেএম আদালতে আবেদন করে সিআইডি। সেই আবেদনের বিরোধিতা করছেন অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীরা। এই প্রেক্ষিতেই আদালত পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে বলে জানায়। একাধিক বার পিছিয়ে শুক্রবার সিজেএম আদালতে ফের সেই শুনানির কথা ছিল। কিন্তু, হয়নি। সরকারপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ফের শুনানি পিছিয়ে যায়।

ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে ফের গুলির লড়াই
তল্লাশি চালাবার সময়ে মাওবাদীদের সঙ্গে ফের গুলির লড়াই হল যৌথ বাহিনীর। শুক্রবার ভোরে মাওবাদী-বাহিনীর মধ্যে গুলির লড়াই হয় ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়ার বরবাড়ি-গোবিন্দপুর জঙ্গলে। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বাহিনীর অনুমান, বহু মাওবাদী গুলিতে জখম। জখমদের নিয়েই মাওবাদীদের দলটি বাঁশতলার জঙ্গলের গভীরে আত্মগোপন করেছে। সেই কারণে দিনভরই জঙ্গল-এলাকা ঘিরে চিরুনি-তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী। কেউ ধরা পড়েনি। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার গৌরব শর্মার বক্তব্য, মাওবাদীরাই আগে গুলি চালায়। বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়।

সেরা ঝাড়গ্রাম
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হল ঝাড়গ্রাম মহকুমা। সবথেকে বেশি ইভেন্টে ঝাড়গ্রামের প্রতিযোগীরাই পুরস্কার পেয়েছে। জেলা প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার সমাপ্তি উপলক্ষে শুক্রবার মেদিনীপুর শহরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী সুকুমার হাঁসদা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের সভাপতি স্বপন মুর্মু প্রমুখ। এ দিনই সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার থেকে শহরে শুরু হয়েছিল জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ পরিচালিত ৩৩ তম ক্রীড়া ও সপ্তম সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা। এ বার জেলার ৪টি মহকুমা থেকে সব মিলিয়ে প্রায় ৩০০ জন প্রতিযোগী জেলা ক্রীড়ায় যোগ দেয়। প্রতিযোগিতাকে কেন্দ্র করে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

সিআরপি’র জনকল্যাণের উদ্যোগ
শুক্রবার লালগড়ের রামগড়ে যৌথ বাহিনীর উদ্যোগে আয়োজিত নকআউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হল। মূল উদ্যোক্তা ছিল সিআরপি-র ৬৬ নম্বর ব্যাটালিয়ান। ব্যবস্থাপনায় রামগড় ফাঁড়ির পুলিশ। গত ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে অংশ নেয় স্থানীয় ১২টি দল। এ দিন ফাইনালে মুড়ার অ্যাথলেটিক ক্লাবকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয় আউলিয়া স্পোর্টিং ক্লাব। টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দলের খেলোয়াড়দের বুট, জার্সি, বল-সহ বিভিন্ন উপহার দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এলাকার একশো জন দুঃস্থকে পোশাক, শীতবস্ত্র ও মশারি দেওয়া হয়। একশো পড়ুয়াকে বইখাতা ও পড়াশোনার সরঞ্জাম দেওয়া হয়। একটি স্বাস্থ্য-পরীক্ষা শিবিরও হয়। সেখানে ৩০০ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বিনামূল্য ওষুধপত্র দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন সিআরপি-র ৬৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যান্ট আনন্দকুমার, লালগড় থানার আইসি চন্দ্রশেখর দাশ।

সমবায়ের মাধ্যমে ধান কেনার উদ্যোগ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ধান কেনার গতি অত্যন্ত শ্লথ। ফলে, চাষিদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। একাংশ চালকল আবার কুইন্টাল পিছু অতিরিক্ত ৭ কেজি করে ধান চাইছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সমবায় সমিতির মাধ্যমে ধান কেনার উদ্যোগও শুরু হল। প্রথমে মেদিনীপুর, পরে অন্য এলাকাতেও সহায়ক-মূল্যে সমবায়ের মাধ্যমেও ধান কেনা হবে। মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতির উদ্যোগে শুক্রবার এক বৈঠক হয়। বৈঠকে মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকার ৩টি সমবায় সমিতির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী ১৪ ডিসেম্বর থেকেই চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু করবে সমবায় সমিতিগুলি। বিধায়ক বলেন, “চাষিদের সুবিধার কথা ভেবেই এই উদ্যোগ।” গত মাসে জেলায় এসে আনুষ্ঠানিক ভাবে ধান কেনা শুরুর ঘোষণা করেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এ বার ১৮০ হাজার মেট্রিক টন। কিন্তু, এখনও ধান কেনা হয়েছে মোটে ৮ হাজার মেট্রিক টন!

ধান কেনা শুরু হল কাঁথিতে
অবশেষে শুক্রবার থেকে সরকারি সহায়ক-মূল্যে চাষিদের কাছ থেকে ধান কেনা শুরু হল কাঁথি মহকুমায়। কাঁথি-৩ ব্লকের কালিনগর ও ভাঁইটগড়ের দু’টি চালকলে এ দিন সকাল থেকে কুইন্টাল প্রতি ১০৮০ টাকা দরে ধান কেনা শুরু হয়। এ দিন ওই দুই চালকলে ৯৬ জন চাষি প্রায় ৫০০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারেন। ধান কেনার শিবিরের সূচনা করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি মামুদ হোসেন বলেন, “কিছুটা দেরিতে হলেও চাষিদের কাছ থেকে সহায়ক-মূল্যে ধান কেনা শুরু হল। প্রতি ব্লকেই ধান কেনা চলবে।” উপস্থিত ছিলেন জেলা খাদ্য নিয়ামক নসরত হোসেন খানও।

ভস্মীভূত ৩টি বাড়ি
স্টোভ ফেটে ভস্মীভূত হয়েছে তিনটি বাড়ি। শুক্রবার বিকেলে এগরার কৌড়দা গ্রামে তিন ভাই তপন, বিনয় ও উত্তম মহাপাত্রের পাশাপাশি তিনটি বাড়িতে আগুন ধরে যায়। এ দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাড়ির সামনে রাখা খড়ের গাদা-সহ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাড়ির যাবতীয় জিনিসপত্র। গ্রামবাসীরা জল ঢেলে আগুন নেভআনোর চেষ্টা করেন। সন্ধ্যে সাতটা নাগাদ দমকল ঘটনাস্থলে যায়। ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে এই ঘটনায় কেউ আহত হননি।

ফুটবল টুর্নামেন্ট
নন্দকুমারের দ্বারিকানাথ ও মোক্ষদা ক্যুইতি স্মৃতি ফুটবল প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠেছে কলকাতার এরিয়ান ক্লাব। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে তারা কলকাতার সাদার্ন সমিতিকে ১-০ গোলে পরাজিত করে। এর আগে সেমিফাইনালের অন্য খেলায় নন্দকুমারের খঞ্চি কেএসএস ক্লাব তমলুক কোচিং সেন্টারকে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। আগামী রবিবার ফাইনালে মুখোমুখি হবে ওই দুই দল।

স্টেশনে ধৃত কেপমার
খড়্গপুর স্টেশনে এক যাত্রীর স্যুটকেস নিয়ে পালানোর সময়ে এক যুবককে ধরল আরপিএফ। ধৃতের নাম জি সুরেশ কুমার (২৪)। বাড়ি ভুবনেশ্বরে। শুক্রবার সকালে ঘাটশিলাগামী ট্রেন ধরার জন্য খড়্গপুর স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আসেন সস্ত্রীক সত্যকিংকর মণ্ডল। অবসরপ্রাপ্ত এই সরকারি কর্মীর বাড়ি গোদাপিয়াশালে। তাঁদের সঙ্গে ছিল একটি স্যুটকেস। ট্রেন আসার আগে সত্যকিংকরবাবুর কাছে এসে সুরেশ বলেন, ‘আপনার পোশাকে নোংরা লেগে রয়েছে।’ এর পর নোংরা পরিষ্কার করার নাম করে স্যুটকেস নিয়ে চম্পট দেয় সুরেশ। এক যুবককে স্যুটকেস নিয়ে দৌড়তে দেখে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীদের। তাঁরা পিছু ধাওয়া করেন। শেষে ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে সুরেশকে ধরেও ফেলেন। আরপিএফের খড়্গপুরের ওসি উত্তম বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই যুবক কৌশলে স্যুটকেস নিয়ে পালাতে চেয়েছিল। ওকে জিআরপি’র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.