|
|
|
|
ফের গুলির লড়াই
মাওবাদী-যৌথ বাহিনীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
|
মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জঙ্গলমহলে ফের গুলির লড়াইয়ে জড়াল যৌথ বাহিনী। শুক্রবার ভোরে মাওবাদী-যৌথ বাহিনীর মধ্যে দফায় দফায় ‘গুলির লড়াই’ হয় ঝাড়গ্রামের মানিকপাড়া অঞ্চলের বরবাড়ি-গোবিন্দপুর জঙ্গলে। দু’পক্ষে কোনও হতাহতের খবর অবশ্য পাওয়া যায়নি। তবে বাহিনীর অনুমান, মাওবাদী-দলের একাধিক সদস্য গুলিতে জখম হয়েছেন। জখমদের নিয়েই মাওবাদীদের দলটি বাঁশতলার জঙ্গলের গভীরে আত্মগোপন করেছে। সেই কারণে গুলির লড়াইয়ের পরে দিনভরই গোটা জঙ্গল-এলাকা ঘিরে চিরুনি-তল্লাশি চালায় যৌথ বাহিনী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন অন্ধকার থাকতেই তল্লাশিতে গিয়েছিল বাহিনী। পুলিশের কাছে খবর ছিল, গড়-শালবনির জঙ্গল লাগোয়া কামারবাঁধি গ্রামে মাওবাদীদের একটি সশস্ত্র দল রয়েছে। দলে মাওবাদী নেতা সাহেবরাম মুর্মু ওরফে জয়ন্ত, কাজল মাহাতো, আকাশরা ছিলেন বলে পুলিশের দাবি। কামারবাঁধি গ্রামটি যৌথ বাহিনী ঘিরে ফেলতেই মাওবাদীদের দলটি জঙ্গলপথে বরবাড়ি জঙ্গলের দিকে পালায়। এর পর বরবাড়ি-গোবিন্দপুর জঙ্গল ঘিরে তল্লাশি শুরু হতেই জঙ্গলের আড়াল থেকে মাওবাদীরা যৌথ বাহিনীকে লক্ষ করে গুলি চালায়। জঙ্গলের ভিতরে মাওবাদীরা দু’টি মাইনও ফাটায় বলে পুলিশের দাবি। পাল্টা গুলি চালায় যৌথ বাহিনী। শেষ পর্যন্ত কোণঠাসা হয়ে মাওবাদীরা বাঁশতলার দিকে পালিয়ে যায়। তার পরেও জোরদার তল্লাশি চলছে গোটা এলাকা ঘিরে। তবে সন্দেহভাজন কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের দলটি মানিকপাড়া, বাঁধগোড়া ও গড়-শালবনি--এই তিনটি অঞ্চলের জঙ্গলের মধ্যেই কয়েক দিন ধরে ঘোরাফেরা করছে। প্রতিটি জঙ্গল-এলাকা বাইরে থেকে ‘কর্ডন’ করে রাখার পাশাপাশি, জঙ্গলের ভিতরে যৌথ বাহিনী তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। ঝাড়গ্রাম পুলিশ জেলার সুপার গৌরব শর্মা বলেন, “সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই ভোররাতে তল্লাশিতে গিয়েছিল যৌথ বাহিনী। মাওবাদীরাই আগে গুলি চালায়। বাহিনীও পাল্টা গুলি চালায়। মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।” |
|
|
|
|
|