|
|
|
|
মাকে স্রেফ মেরে ফেলা হল, ক্ষোভ জানালেন মৃতার ছেলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিয়াখালা |
মস্তিষ্কের সমস্যা সামলে উঠেছিলেন অনেকটাই। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শুক্রবার ভোরে কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত্যু হল শিয়াখালা বেণীমাধব উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষিকা কমলা চট্টোপাধ্যায়ের (৬৬)। শুক্রবার সন্ধ্যায় শিয়াখালার পূর্বপাড়ার বাড়িতে যখন তাঁর নিথর দেহ এসে পৌঁছল, তখন ভিড় ভেঙে পড়েছে সেখানে। অনেকের চোখে জল।
শিয়াখালায় স্বামী সুজিৎবাবুর সঙ্গে থাকতেন কমলাদেবী। ছেলে সুরজিৎ কলকাতায় থাকেন। স্কুলে ইংরেজি পড়াতেন কমলাদেবী। ছাত্রছাত্রী বা সহকর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয় ছিলেন। কমলাদেবীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর মস্তিষ্কে টিউমার হয়েছিল। সেই চিকিৎসার জন্যই গত ২৬ নভেম্বর তিনি ভর্তি হন ওই হাসপাতালে। গত মঙ্গলবার তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়। শনি-রবিবার নাগাদ তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল হাসপাতাল থেকে। বাড়ি ফেরার অপেক্ষাতে ছিলেন তিনি। কিন্তু ফিরল গ্রামের মানুষের প্রিয় ‘দিদিমনি’র দেহ।
সুরজিৎবাবু বলেন, “গভীর রাতে আগুন লাগলেও আমাদের খবর দেওয়া হয়নি। সকালে টিভি দেখে ঘটনার কথা জানতে পারি। সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী গৌতমীকে নিয়ে হাসপাতালে যাই। মা-কে যখন বের করা হল, ততক্ষণে দমবন্ধ হয়ে ওঁর মৃত্যু হয়েছে।” সুরজিৎবাবুর কথায়, “মাকে স্রেফ মেরে ফেলা হল। স্থানীয় লোকজনকে হাসপাতালে ঢুকতে না দেওয়ায় বিপত্তি আরও বাড়ে। তাঁরা ঢুকতে পারলে হয় তো আমার মা-সহ আরও অনেককে বাঁচানো যেত।” পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। দেহ দাহের জন্য রাজ্য সরকার দশ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। সুরজিৎবাবুরা অবশ্য তা প্রত্যাখ্যান করেন। স্ত্রীর মৃত্যুতে বিহ্বল সুজিৎবাবু কথা বলার মতো অবস্থাতেই ছিলেন না। সুরজিৎবাবু বলেন, “মা যে ভাবে মারা গেলেন, তাতে এই সাহায্য নেওয়ার মানসিকতা নেই আমাদের।” |
|
|
|
|
|