হাসপাতালে আর ভাল লাগছে না, বলেছিলেন তপন
নিবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরার কথা ছিল তপনবাবুর। হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকতে আর ভাল লাগছে না, বলেছিলেন স্ত্রীকে। কিন্তু বাড়ি ফিরল তাঁর দেহ। এএমআরআই হাসপাতালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের জেরে মারা গিয়েছেন চন্দননগরের বড়বাজারের বাসিন্দা তপনকুমার দে।
বাঁশবেড়িয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ম্যানেজার ছিলেন তপনবাবু। ক্যানসারে ভুগছিলেন। রাজ্যের বাইরে এক বার অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তারপরেও পুরোপুরি সুস্থ হননি। তপনবাবুর স্ত্রী ভারতীদেবী চন্দননগর অরবিন্দ স্কুলের শিক্ষিকা। তিনি জানান, কলকাতার এএমআরআই হাসপাতালে কিছু দিন ধরে চিকিৎসা চলছিল স্বামীর। সেখানে ভর্তি করা হয় গত ১৪ নভেম্বর। শিড়দাঁড়ায় টিউমার অপারেশন হয়েছিল গত ১ ডিসেম্বর। তারপর থেকে চলাফেরা স্বাভাবিক না হলেও আগামী ১০ ডিসেম্বর তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।
--নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাতেই ভারতীদেবী গিয়েছিলেন স্বামীকে দেখতে। ভারতীদেবীর কথায়, “উনি খুবই অধৈর্য হয়ে পড়েছিলেন। বার বার বলছিলেন, আর এখানে থাকতে ভাল লাগছে না। হাসপাতালের খাবার খেতে পারছি না। এ বার আমাকে বাড়ি নিয়ে চলো।” ভারতীদেবীর আক্ষেপ, “গত কাল সন্ধেবেলাই কথা বলে এলাম। বললাম, চিন্তার কিছু নেই। শনিবার বাড়ি নিয়ে যাব। আর সকালে উঠে শুনি এই কাণ্ড!”
কী ভাবে দুর্ঘটনার খবর পেল দে পরিবার?
ভারতীদেবীর মেয়ে তনুকার শ্বশুরবাড়ি কৃষ্ণনগরে। মেয়ে-জামাইয়ের কাছ থেকেই খবর আসে চন্দননগরের বাড়িতে। তনুকার স্বামী শরদিন্দু রায় বলেন, “আমরা টেলিভিশন থেকে ঘটনার কথা জানতে পেরে কলকাতায় চলে আসি।” আগেই হাসপাতালে এসে গিয়েছিলেন দে পরিবারের দুই আত্মীয়। তাঁরাই দেহ শনাক্ত করেন বলে জানালেন শরদিন্দুবাবু। পরে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে ময়না-তদন্তের পরে রাতেই দেহ চন্দননগরে নিয়ে যাওয়ার কথা। তপনবাবুর ছেলে রঙ্গন কর্মসূত্রে থাকেন বহরমপুরে। তিনিও খবর পেয়ে চলে এসেছেন বাড়িতে। শরদিন্দুবাবু জানালেন, শ্বশুরমশাই অগ্নিদগ্ধ হননি। দেহ দেখে তাঁদের অনুমান, প্রবল ধোঁয়ায় দম বন্ধ হয়েই মারা গিয়েছেন তিনি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.