মোটর শ্রমিক ও ছাত্রদের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ বার মাঠে নেমে পড়ল ডান-বাম, উভয় ছাত্র সংগঠনই।
কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই আজ সারা রাজ্যে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে। রাজ্যের ১৫টি কলেজে তাদের ছাত্র সংগঠনগুলি ওই দিনের ঘটনার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করেছে, বিক্ষোভ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন এনএসইউআইয়ের রাজ্য সভাপতি ভিকি প্রসাদ। পাশাপাশি, এসএফআই এবং টিএসইউ জোটও প্রতিবাদে নেমেছে। ঘটনার তদন্ত এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে আগরতলা সদরের সহকারী পুলিশ সুপার, কমল চক্রবর্তীর কাছে এসএফআই আজ একটি স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক নবারুণ দেব।
গত বুধবার আগরতলার নাগেরজলা বাসস্টান্ডে এক ছাত্রের উদ্দেশে স্ট্যান্ডের এক অটোচালকের ‘অশালীন’ মন্তব্যকে ঘিরে প্রথমে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সংলগ্ন একটি ছাত্রাবাস থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বহু ছাত্র। শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, উত্তেজিত ছাত্ররা চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায় মোটরস্ট্যান্ডের শ্রমিক-চালকদের ইউনিয়ন অফিসে। চেয়ার, টেবিল-সহ বহু জিনিস নষ্ট হয়। কয়েক জন মোটর শ্রমিক, অটো চালককে ছাত্ররা মারধরও করে। এর পাল্টা হিসেবে, বাসস্ট্যান্ডের মোটরশ্রমিক, অটোচালকদের একাংশ কয়েক জন ছাত্রকেও মারধর করে। বুধবার সন্ধ্যার পর বেশ কিছুক্ষণ ওই অঞ্চলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও গা ঢাকা দেয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সুপার অনীশ প্রসাদ-সহ স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা ঘটনাস্থলে আসেন।
এনএসইউআইয়ের ভিকি প্রসাদের অভিযোগ, যে সব ছাত্র ‘অনভিপ্রেত’ ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে যান, সিটু-নিয়ন্ত্রিত মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা তাঁদেরও ‘ধারালো অস্ত্র’ নিয়ে আক্রমণ করে। এই ঘটনায় এক পথচারী ও ছয় ছাত্র জখম হয়েছেন। দু’জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এসএফআইয়ের নবারুণ দেব জানান, এই ‘অবাঞ্ছিত ঘটনাকে’ কেন্দ্র করে ছাত্র-শ্রমিক সম্পর্কের মধ্যে কেউ বা কারা তিক্ততা তৈরি করতে চাইছে। |