লাভপুরে বিনা লড়াইয়ে জয়ী |
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বোলপুর মহকুমার দু’টি কলেজে ছাত্র সংসদের ক্ষমতা দখল করতে চলেছেন ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদ জোটের প্রার্থীরা। কলেজ দু’টি হল লাভপুরের শম্ভুনাথ মহাবিদ্যালয় ও নানুরের খুজুটিপাড়া চণ্ডীদাস মহাবিদ্যালয়। ১৭ ডিসেম্বর ওই দুই কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা। শুক্রবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু এ দিন পর্যন্ত লাভপুরের কলেজে ছাত্র সংসদের ২৭টি আসনে ওই জোট প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে এই কলেজে ছাত্র সংসদটি ছিল এসএফআইয়ের দখলে। অন্য দিকে, খুজুটিপাড়া কলেজের ছাত্র সংসদের ১৮টি আসনের মধ্যে ১৭টিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কেউ প্রার্থী দেননি। ওই কলেজের ছাত্র সংসদটিও বরাবর এসএফআইয়ের দখলে। কিন্তু চলতি বছরের জুন মাসে এসএফআইয়ের টিকিটে জেতা সদস্যরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দেওয়ায় ছাত্র সংসদের নিয়ন্ত্রণ হারায় এসএফআই। এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক শতদল চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সন্ত্রাসের জেরে ওই কলেজ দু’টিতে নির্বাচনের পরিবেশ নেই। সেই জন্য দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা নির্বাচন বয়কট করেছি।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় পাল্টা দাবি করেন, “এত দিন এসএফআইয়ের সন্ত্রাসের কারণে আমরা বহু কলেজে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য প্রার্থী খুঁজে না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”
|
সেতুর অভাবে এলাকার পাথর শিল্পাঞ্চলে যেতে সমস্যা হয় শ্রমিকদের। বর্ষাকালে ওই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দিতে হয় তাঁদের। নলহাটি থানার খাঁপুড়, মধুপুর এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন যাবত একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন পঞ্চায়েত সমিতির কাছে। নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কংগ্রেসের মাধবেন্দ্র ঘোষাল বলেন, “সেতুটি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আছে। সেতু তৈরি হয়ে গেলে মধুপুরের বাসিন্দাদের কষ্ট করে শিল্পাঞ্চল এলাকায় পৌঁছতে হয় না।” তিনি জানান, সেতু নির্মাণের জন্য এলাকার বিধায়ক অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়কে বলা হয়েছে। যাতে তাঁর বিধায়ক উন্নয়ন খাত থেকে সেতুটি নির্মাণের জন্য টাকা পেলে সুবিধা হয়। কারণ পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষে এই বিশাল অঙ্কের টাকা ব্যয় করা সম্ভব নয়। |