নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই
|
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পেরে কলেজে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে মুরারই কবি নজরুল কলেজে। ওই ঘটনার পরে কলেজে শান্তি-শৃঙ্খলার পরিবেশ বজায় রাখার দাবিতে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা। এ ব্যাপারে তাঁরা স্মারকলিপি দেওয়ার পাশাপাশি কিছুক্ষণের জন্য রাস্তা অবরোধ করেন।
অধ্যক্ষ নন্দদুলাল চৌধুরী বলেন, “বৃহস্পতিবার বিকেলে কলেজ থেকে বেরনোর পরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কয়েক জন সমর্থক আমাকে ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকে। ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কায় পুলিশ আমাকে বের করে নিয়ে আসে। পরে শুনেছি কলেজের স্টাফ রুমের কম্পিউটার, আলমারি, চেয়ার, টেবিল, শৌচাগারের জানালা ভাঙচুর করেছে। শুক্রবার কলেজে যাইনি।” তিনি জানান, আজ, শনিবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন আছে। তখন কলেজে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ আলাদা ভাবে লড়াই করছে। ৫ ডিসেম্বর থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল। অধ্যক্ষ বলেন, “দুপুর ১টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয়। ওই সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে আমরা যখম স্কুটিনি করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম তখন কলেজের বারান্দায় তৃণমূল সমর্থকরা এক জন প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিতে আসে। আমি তাদের বলি, সময় পেরিয়ে গিয়েছে। তারা বলে, ছাত্রপরিষদের ছেলেরা কলেজের ভিতরে ভিড় করেছিল বলে সময় মতো তারা ঢুকতে পারেনি। ওদের নিয়ে আলোচনা চলাকালীন ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা দাবি করে, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে মনোনয়ন জমা নেওয়া যাবে না।” নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মনোনয়ন জমা দিতে আসা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৪টের সময়ে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসার পরে অধ্যক্ষকে ঘিরে ধরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকেরা।
ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র পরিষদের মাসিদুল ইসলামের অভিযোগ, “কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পায়ের তলার মাটি নেই। অথচ ক্ষমতা প্রদর্শন করে বহিরাগতদের সমর্থন নিয়ে অশান্তি পাকাতে চাইছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ওই কলেজে আমাদের যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। ছাত্র পরিষদ তাদের ক্ষমতা কায়েম করে ছাত্রছাত্রীদের নিজেদের কব্জায় রাখছে। গত কালের ঘটনায় ছাত্র পরিষদ ও অধ্যক্ষের যোগসাজোস রয়েছে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের প্ররোচিত করা হয়েছে।” |