পুলিশের ‘ভূমিকায়’ ক্ষুব্ধ শিক্ষকেরা |
স্কুলে দু’দল অভিভাবকের মধ্যে গোলমাল ঠেকাতে গিয়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘উস্কানিমূলক কথা’ বলার অভিযোগ উঠল বর্ধমান থানার এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে। ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে ‘ধমক’ দেওয়া ও ‘দুর্ব্যবহার’ করার অভিযোগ উঠল আর এক পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে। মূলত ওই দুই অভিযোগে শুক্রবার বর্ধমান সিএমএস স্কুলের শিক্ষকেরা থানা চত্বরে বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী, সে সময়েও থানা থেকে তাঁদের ধাক্কা মেরে বার করার চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম দেওয়ার জন্য সিএমএস স্কুলের কাউন্টার খোলার পরেই গোলমাল বাধে। অভিভাবকদের একাংশ দাবি করেন, ওই স্কুলের প্রাথমিক বিভাগের চতুর্থ শ্রেণি উত্তীর্ণ ছাত্রদের হাইস্কুলের পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির প্রতিশ্রুতি দিতে হবে প্রধান শিক্ষককে। তার পরে ফর্ম দেওয়া হোক। অন্য অভিভাবকেরা এ দিনই ভর্তির ফর্ম দেওয়ার দাবি জানান। প্রধান শিক্ষক বিশ্বনাথ চক্রবর্তী পুলিশ ডাকেন। তাঁর অভিযোগ, থানা থেকে আসা এক এএসআই অভিভাবকদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ‘উস্কানি’ দেন এবং সে ব্যাপারে অভিযোগ জানাতে বর্ধমান থানাতে গিয়েও তাঁরা ‘অপমানিত’ হন। পুলিশ অবশ্য অভিযোগ মানেনি।
|
সিঁধ কেটে দু’টি বাড়ি থেকে টাকা ও গয়না চুরি করল চোরেরা। বৃহস্পতিবার রাতে কালনা ২ ব্লকের সাহাপুর গ্রামের ঘটনা। দু’টি বাড়ির মধ্যে একটি এক পঞ্চায়েত সদস্যার। এছাড়া আরও একটি বাড়িতেও তারা চুরির চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যা অহল্যা অধিকারীর বাড়ি থেকে বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায়। পূর্ব সাতগাছিয়া পঞ্চায়েতের ওই সদস্যার দাবি, দিন কয়েক আগে গরু বিক্রির হাজার দশেক টাকা তাঁর ঘরে রাখা ছিল। টিনের ঘরে সিঁধ কেটে চোরেরা সমস্ত টাকা নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এর পরেই অভিযোগ ওঠে, কাছাকাছি একটি বাড়ি থেকে সুটকেস ভেঙে বেশ কয়েক ভরি সোনার গহনাও চুরি হয়ে গিয়েছে। শুক্রবার ঘটনার তদন্তে নামে কালনা থানার পুলিশ। |