|
|
|
|
গোর্খাল্যান্ডের দাবি |
স্বাগত বদলি করার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের অফিসার-কর্মীদের সংগঠনের নেতাদের একাংশকে বদলির প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাল ফরওয়ার্ড ব্লক। দলের কোচবিহার জেলার সম্পাদক উদয়ন গুহ “বামফ্রন্টের আমলে এনবিএসটিসির সিটুর কিছু নেতা ছড়ি ঘুড়িয়েছেন। বদলি, রোস্টার তৈরি থেকে নানা কাজ ওই সংগঠনের নেতারই ঠিক করতেন। যাঁরা অন্য সংগঠন করতেন, তাঁদের বদলি করে মানসিক জুলুম চালানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ ৭০০ অফিসার-কর্মীর বদলির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানাচ্ছি। সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, একই জায়গায় বছরের পর বছর থাকা, পদোন্নতির পরেও অনেকে বদলি হননি। সংগঠনের নেতা হওয়ার সুবাদেও কাজ না করে বেতন নিচ্ছেন বহু কর্মী। ওই সব অভিযোগেই প্রাথমিকভাবে অন্তত ৭০০ কর্মীকে বদলির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। উদয়নবাবু বলেন, “যাঁরা কাজ করছে না। দুর্নীতিতে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। তাঁদের সরাতে প্রক্রিয়া হলে আপত্তির কিছু নেই।” উদয়নবাবুর আশঙ্কা পরিবর্তনের হাওয়া শিবির বদলানো কিছু নেতা তৃণমূলে ভিড়েছেন বলেই ওই বদলি প্রক্রিয়া নিয়ে দলতন্ত্রের প্রভাব পড়তে পারে। একই প্রসঙ্গে উদয়নবাবুর হুঁশিয়ারি, “আমরাও সংস্থার পুনরুজ্জীবন চাই। ফলে স্বচ্ছতা বজায় রেখে উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে কিছু বলার নেই। কিন্তু শুধু বেছে বেছে প্রকৃত বামপন্থীদের বদলি করা হলে তা মানা হবে না।” বাম শরিক দলের জেলা নেতারা ওই বক্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে সিটুর এনবিএসটিসি এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন। সংগঠনের সম্পাদক জগতজ্যোতি দত্ত বলেন, “উদয়নবাবু শরিক দলের নেতা। আমরা ট্রেড ইউনিয়ন থেকে তিনি কি বলছেন তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। যা বলার দলের নেতারা বলবেন।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অনন্ত রায় বলেন, “এনবিএসটিসি নিয়ে ফ্রন্টের বৈঠকে আলোচনা না করে বিবৃতি দেওয়া অপ্রাসঙ্গিক। ফ্রন্টের বৈঠকে উয়দনবাবুর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।” এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথবাবু বলেছেন, “বদলি নিয়ে রাজনীতি হবে না। দেরিতে হলেও উদয়নবাবুদের বোধোদয় হচ্ছে, এটা ভাল ব্যাপার!” ১শিলিগুড়ির তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাস থেকে এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট ওনার্স কো-অর্ডিনেশন কমিটির সম্পাদক প্রণব মানি বলেন, “সরকারি বাসস্ট্যান্ড থেকে কর্তৃপক্ষ আমাদের বার করতেই পারেন। কিন্তু বাম ঘনিষ্ঠ বলেই জায়গা দেওয়া হয়েছিল, এই তথ্য ঠিক না। ১৯৯০ সালে সরকারি স্তরে সিদ্ধান্ত নিয়ে শহরের বেসরকারি বাসগুলিকে টার্মিনাসের পিছনে জায়গা দেওয়া হয়। টিকিট কাউন্টার দেওয়া হয়। আমরা প্রায় ২ লক্ষ টাকা পরিষেবার জন্য দিই। অথচ রাস্তা, নর্দমা, শৌচাগার, বিদ্যুৎ ও জলের অবস্থা না বলার মতো।” |
|
|
|
|
|