|
|
|
|
গোর্খাল্যান্ডের দাবি |
পাহাড় থেকে সমতল পদযাত্রায় সিপিআরএম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
জিটিএ বা গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নয়, আলাদা গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের দাবিতে ‘পাহাড় থেকে সমতল’ পদযাত্রা শুরু করেছে সিপিআরএম। দার্জিলিং, মিরিক এবং কালিম্পং থেকে মঙ্গলবার ৩টি আলাদা পদযাত্রা শুরু হয়েছে। এ দিন সন্ধ্যার মধ্যে সবকটি পদযাত্রা সুকনা এসে পৌছানোর কথা। তবে কালিম্পঙের পদযাত্রাটিকে জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ ভক্তিনগর এলাকার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে দেয়। পদযাত্রার অনুমতি না দিয়ে ৭৫ জন সিপিআরএম কর্মীকে আটক করা হয়। এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশই বাসে করে তাঁদের সুকনায় পৌঁছে দেয়। দলের তরফে জানানো হয়েছে,, কোনও অশান্তি নয়। শান্তি সম্প্রীতি এবং এলাকার সব জাতির উন্নয়নের লক্ষ্যে আলাদা রাজ্যই দরকার। সেই লক্ষ্যে শিলিগুড়িতে একটি সভারও অনুমতি চায় সিপিআরএম। কিন্তু শান্তি শৃঙ্খলার কথা মাথায় রেখে তা দেয়নি পুলিশ। সেই সঙ্গে জলপাইগুড়ি পুলিশ পদযাত্রাটুকু করতে দেয়নি। আটক করে বাসে করে সুকনায় এনে ছাড়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে দলের তরফে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার সুকনা থেকে শিলিগুড়ি উদ্দেশে পদযাত্রা করা হবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত জাভালগি বলেন, “গণতান্ত্রিক ভাবে যে কেউ আন্দোলন, পদযাত্রা করতে পারেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বিষয়টি আমাদের কাছে প্রথম। সেই কারণে শিলিগুড়িতে সভার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।” উল্লেখ্য, মোর্চা বিরোধী সিপিআরএমের কমর্সূচিকে ঘিরে পুলিশি বন্দোবস্ত আছে। দলের মুখপাত্র গোবিন্দ ছেত্রী বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আলাদা রাজ্যের দাবিতে পদযাত্রা করছি। পাহাড় এবং সমতলকে আমরা এক সূত্রে বাঁধতে চাই। আলাদা রাজ্য ছাড়া গোর্খাদের উন্নয়ন, বিকাশ সম্ভব নয়। কিন্তু শিলিগুড়িতে সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ি পুলিশ পদযাত্রা করতে দেয়নি। শিলিগুড়ির দিকে আজ, ফের পদযাত্রা করব।” মঙ্গলবার দার্জিলিং বাজার এবং কালিম্পং বাজার এলাকা থেকে সিপিআরএমের মূল পদযাত্রা দুটি শুরু হয়। দলের ৩০০ সক্রিম কর্মী অংশ নিয়েছেন। মুখপাত্র গোবিন্দ ছেত্রী এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অরুণ ঘাটানির নেতৃত্বে দুটি পদযাত্রা হচ্ছে। রাতে দার্জিলিঙের দলটি কার্শিয়াঙে এবং কালিম্পঙের দলটি কালীঝোরায় বিশ্রাম নেন। এ দিন সাত সকালে ফের দুটি দল সমতলের উদ্দেশে রওনা হয়। তার আগে কার্শিয়াং বাজারে একটি পথসভা হয়। এর পাশাপাশি আরেকটি ছোট দল মিরিক থেকে সুকনা আসছে। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অরুণবাবু বলেন, “আমরা তরাই এবং ডুয়ার্সের বাসিন্দাদের সঙ্গে সংঘাত চাই না। সমতলের সাহায্য ছাড়া গোর্খাল্যান্ড কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।” |
|
|
|
|
|