|
|
|
|
কাজ খুইয়ে বিপাকে সহায়িকা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
কাজ খোয়ানোর পরে সাত বছর কেটে গেলেও প্রশাসনিক কর্তারা হস্তক্ষেপ না-করায় বিপাকে পড়েছেন ফালাকাটার বাসিন্দা এক শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা। তাঁর অভিযোগ, ২০০৩ সালে ফালাকাটা-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিপুর গ্রামে শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সহায়িকা পদে তিনি নিয়োগ হন। চাকরির এক বছর বাদে সেখানকার সভাপতি তাকে স্কুলে আসতে মানা করে দেন। স্কুলে গেলে তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তিনি ফালাকাটা ব্লক প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। প্রশাসনের অফিসারেরা তার কাছে নিয়োগপত্র তিনি তা দেখাতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে বার বার বললেও তাঁকে এতদিন নিয়োগ সংক্রান্ত কোনও কাগজপত্র দেওয়া হয়নি। মঞ্জুলা দেবী বলেন, “সিপিএম দলের কর্মী তথা শিশু বিকাশ কেন্দ্রের সভাপতি ও সম্পাদক ইচ্ছাকৃত ভাবে সহায়িকা পদ থেকে সরিয়ে দেন। আমায় খাতায় সই করতে দেওয়া হত না।” স্নাতক, অবিবাহিত ওই মহিলা মঞ্জুলা সাহা বছরের পর বছর ব্লক অফিসে ঘোরাঘুরি করেও হাতে চাকরির প্রমাণপত্র পাননি। অনেক লড়াইয়ের পর চাকরির প্রমাণপত্র হাতে পেলেও নতুন করে তাকে কাজে নেয়নি প্রশাসন। বিপাকে ফালাকাটার দেশবন্ধুপাড়ার ওই মহিলা মঞ্জুলা দেবী এখন টিউশন পড়িয়ে সংসার চালাচ্ছেন। ওই সামান্য আয়ে ৭ জনের পরিবার চলছে। ফালাকাটার বি ডি ও সুশান্ত মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি বহু দিনের। খালি পদে লোক নিয়োগ হয়েছে। আমাদের হাতে এখন কাউকে নিয়োগ করার সুযোগ নেই। এখন কাউকে নেওয়া হচ্ছে না। পরবর্তীতে নিয়োগ করার সুযোগ এলে মঞ্জুলা দেবীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।” কালিপুর গ্রামের তৎকালীন শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি নীলকমল সরকার ও সম্পাদক নৃপেন সরকার বলেন, “মঞ্জুলা দেবী ঠিকঠাক স্কুলে আসতেন না। সামান্য বেতনে সংসার চলে না বলে বার বার বলতেন। সরকারি নির্দেশে ছাত্র কম থাকলে একজন সহায়িকাকে সরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আমাদের হাতে ছিল। সে কারণে তাঁকে সরানো হয়। কোনও রকম হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।” |
|
|
|
|
|