|
|
|
|
সজল ধারার টাকা গেল কোথায়, তদন্তে রাজ্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
জল নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ! গ্রামীণ এলাকায় পানীয় জল সরবরাহের জন্য ‘সজল ধারা’ প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ ওঠায় রাজ্য সরকার তদন্ত করবে। মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন পেলেই শুরু হয়ে যাবে তদন্ত। বুধবার বিধানসভায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ কথা জানান।
কেন্দ্রীয় সরকারের সজল ধারা প্রকল্প ২০০২ সালে শুরু হয়। ২০০৭ সালে তা শেষ হয়ে যায়। এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৯০ শতাংশ টাকা দিত। বাকি ১০ শতাংশ দিতেন গ্রামের মানুষ। মন্ত্রী জানান, ওই সময়কালে রাজ্যে ৩৪৮টি প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়া গিয়েছিল। তার মধ্যে কাজ হয়েছে মাত্র ১৪৪টির। এই কাজের দায়িত্বে ছিল জেলা পরিষদ। দেখা গিয়েছে, অনেক জেলায় সজল ধারা প্রকল্পে জলের কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি। মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী মুর্শিদাবাদে সজল ধারা প্রকল্পের কাজ হয়নি। অথচ এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যই ছিল গ্রামীণ এলাকায় মানুষের ঘরে ঘরে পরিস্রুত পানীয় জল সরবরাহ করা।
তৃণমূল বিধায়ক জ্যোতির্ময় করের প্রশ্নের উত্তরে সুব্রতবাবু এ দিন বিধানসভায় বলেন, “সজল ধারা প্রকল্প নিয়ে তদন্ত করা প্রয়োজন। এই ব্যাপারে তিন জনকে নিয়ে একটি কমিটি গড়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদন দিলেই এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে সেই কমিটি।” মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার দেখতে চায়, ৩৪৮টি প্রকল্প অনুমোদন পেলেও মাত্র ১৪৪টির কাজ হল কেন? বাকি টাকা কোথায় গেল, কত মানুুষ টাকা দিয়েছিলেন তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সব তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছে সরকার। বিধানসভার বাইরে মন্ত্রী বলেন, “দুর্নীতির বিষয়টিই এখানে বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। তাই বিভাগীয় সচিবকে কমিটির আহ্বায়ক করে এক জন ইঞ্জিনিয়ার এবং অর্থনীতির এক জনকে নিয়ে তদন্ত কমিটি তৈরি করা হবে।” সুব্রতবাবু জানান, তিনি এ দিনই বিষয়টি লিখিত ভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েছেন।
সমুদ্রের জল পরিশুদ্ধ করে পানীয় জল সরবরাহের চেষ্টা হচ্ছে হলে জানান জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। প্রাথমিক ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এটা চালু করার পরিকল্পনা আছে। |
|
|
|
|
|