|
|
|
|
‘এক জানলা’ ব্যবস্থায় নতুন মাত্রা |
শিল্পোন্নয়ন নিগমেই লগ্নি বিষয়ক সব কাউন্টার চায় রাজ্য |
দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত • কলকাতা |
শুধু ‘এক জানলা’ ব্যবস্থাতেই থমকে থাকতে চায় না রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। তা আরও দক্ষ করে তুলতে প্রকল্প অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কাউন্টারই নিগম চত্বরে খোলার কথা ভাবছে রাজ্য শিল্প দফতর। শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ রাজ্যে লগ্নি প্রস্তাব এলে অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে গড়ে প্রায় ৩১৫ দিন লাগে। এ জন্য অনেকাংশেই দায়ী বিভিন্ন দফতরের আবেদনপত্রের বিপুল বহর। দফতরগুলির সঙ্গে আলোচনা করে তৈরি অভিন্ন আবেদনপত্রের ক্ষেত্রে খসড়ার পাতার সংখ্যা কমে হয়েছে ১৫। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তা আরও কমানোর চেষ্টা চলছে। নিগমের দফতরেই বিনিয়োগের সঙ্গে যুক্ত সব বিভাগের ‘স্বীকৃত’ প্রতিনিধিদের বসানোর কথাও ভাবছি।”
পার্থবাবুর দাবি, সে ক্ষেত্রে আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ দ্রুত হবে। সময় বাঁচবে। মুখ্যমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দিলে শীঘ্রই এর পাইলট প্রকল্প চালু করতে চায় শিল্প দফতর। কিন্তু শিল্প দফতর ছাড়াও শিল্পায়নের জন্য জরুরি বিদ্যুৎ, শ্রম, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, অর্থ, জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরগুলিও তো মহাকরণ, নিউ সেক্রেটারিয়েট, সল্টলেকে ছড়িয়ে। ফলে, এক দিকে স্থানগত দূরত্ব। অন্য দিকে আঠারো মাসে বছরের মানসিকতা। দুইয়ের গুঁতোয় কার্যতই জাঁতাকলে লগ্নিকারীরা। যে কারণে ‘এক জানলা ব্যবস্থা’ কার্যকর করতে শিল্পমহলকে নিয়ে একটি ‘কর্মী গোষ্ঠী’ গড়ে সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হয় নতুন সরকার।
এই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনার পরই নিগমের দফতরে সব কাউন্টার খোলার কথা ভাবছে শিল্প দফতর। এই কাউন্টারেই শ্রম দফতরের ‘ফ্যাক্টরি’ ও ‘শপ অ্যান্ড এস্টাবলিশমেন্ট’ ডিরেক্টরেট থেকে শুরু করে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, লাইসেন্স ইত্যাদি মিলবে। জমা নেওয়া হবে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ছাড়পত্র সংক্রান্ত আবেদনপত্র। থাকবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা, সিইএসসি ও ডিভিসি-র জন্য আলাদা কাউন্টার। থাকবেন ভ্যাটের রেজিস্ট্রেশন ও অন্যান্য বিষয় দেখার জন্য অর্থ দফতরের ও জল সংক্রান্ত বিষয় দেখার জন্য সেচ ও জলসম্পদ উন্নয়ন দফতরের প্রতিনিধিরা। সময় বাঁচাতে শিল্প-সহ সব দফতরকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া হবে সময়সীমা। উদ্যোগ সফল হলে লগ্নিকারীদের সুবিধা হবে বলে মানছে শিল্পমহল। প্রকল্প নির্মাণের আগে এই পর্বেই সবচেয়ে বেশি দৌড়দৌড়ি করতে হয়। বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে নিগমের সমন্বয়ও জোরদার হবে। তিনি জানান, গুজরাতে লগ্নিকারীরা এই সুবিধা পান। খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সরকার লগ্নিকারীদের প্রকল্পের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়ে দেয়। তার জন্য লগ্নিকারীকে দফতরে দফতরে দৌড়তে হয় না। |
|
|
|
|
|