টুকরো খবর

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চায় কো -অর্ডিনেশন
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিল সিপিএম প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন রাজ্য কো -অর্ডিনেশন কমিটি। মুখ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যেই দু’বার রাজ্য সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসে তাদের সমস্যা শুনেছেন এবং সমাধানের পথ বাতলেছেন। ওই সব বৈঠকে কো -অর্ডিনেশন কমিটিও উপস্থিত ছিল। তার পরেও ফের তারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চাইছে। কারণ, তাদের বক্তব্য, আগের দু’বারের বৈঠকে অন্যান্য সংগঠন ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বিষয়ে আলোচনা করে ‘সময় নষ্ট’ করেছে। রাজ্য কো -অর্ডিনেশনের সাধারণ সম্পাদক অনন্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে লিখেছেন, ‘বহু বছরের প্রশাসনিক সাংগঠনিক অভিজ্ঞতাপ্রাপ্ত আমাদের সংগঠনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ছাড়া রাজ্যের পক্ষে আমলাতান্ত্রিক, প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে জনস্বার্থবাহী কাজ করা সম্ভব নয়। অনেক বিষয় আছে যা শুধুমাত্র মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকেই জানানো সম্ভব।’ সেই বিষয়গুলি আগের দু’বারের বৈঠকে তারা যথেষ্ট ভাল ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পেশ করতে পারেনি বলে কো -অর্ডিনেশন কমিটির দাবি। তাদের বক্তব্য, ওই দুই বৈঠকে কো -অর্ডিনেশন এবং সহযোগী সংগঠনগুলি ছাড়া অন্য সব সংগঠন একযোগে আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে না গিয়ে দীর্ঘক্ষণ অন্যান্য অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা চালিয়ে গিয়েছিল। অনন্তবাবু মুখ্যমন্ত্রীকে লিখেছেন, ‘নির্দিষ্ট আলোচ্য বিষয়ের উপরেই আলোচনা হওয়া সমীচীন।’ আগের দুই বৈঠকের অভিজ্ঞতার নিরিখে কো -অর্ডিনেশন কমিটি মনে করছে, নির্দিষ্ট আলোচনা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ছাড়া হওয়া সম্ভব নয়। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মী সংগঠনগুলির সঙ্গে তিন মাস অন্তর আলোচনার ব্যবস্থা করেছেন। তার জন্য ওই চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান অনন্তবাবু। তাঁদের বক্তব্য, বৈঠকের দিনক্ষণ আলোচ্য বিষয় তিন দিন আগে জানালে আলোচনা বেশি ফলপ্রসূ হতে পারে। যে দু’টি বৈঠক হয়েছে, সেগুলি দু’ঘণ্টা আগে জানানো হয়েছিল। তাতে আলোচনায় অসুবিধা হয়েছে।

সিবিআই মামলার জন্য তিনটি নতুন এজলাস
রাজ্যে সিবিআইয়ের অজস্র মামলা জমে আছে। এই অবস্থায় শুধু সিবিআই সংক্রান্ত মামলার জন্য বুধবার নতুন তিনটি এজলাস চালু হল বিচার ভবনে। এই নিয়ে ওই আদালতে সিবিআইয়ের এজলাসের সংখ্যা বেড়ে হল ছয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমিত তালুকদার এ দিন নতুন তিনটি এজলাসের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা সুমনবালা সাহু, ডিআইজি অরুণ বোথরা, এসপি সমীররঞ্জন মজুমদার, এম এন সিংহ এবং বিজয় কুমার উপস্থিত ছিলেন। ওই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর, রাজ্যে সিবিআইয়ের দায়ের করা প্রায় ৮০০ মামলা জমে গিয়েছে। ৫৩টি আদালতে সেই সব মামলার শুনানি চলছে। তার মধ্যে ৩০ বছরের পুরনো মামলাও রয়েছে বলে জানান রাজ্যে সিবিআইয়ের আইন শাখার প্রধান পার্থ তপস্বী। ব্যাঙ্কশাল কোর্টে ৩৭৫টি মামলা জমে আছে। ১২৭টি মামলা জমে রয়েছে আলিপুরে। হাওড়া ও হুগলি জেলায় জমে আছে বেশ কিছু মামলা। ওই সব বকেয়া মামলা এ বার ভাগ হয়ে যাবে ব্যাঙ্কশাল কোর্টের ছ’টি এজলাসে। সিবিআইয়ের অফিসারদের কেউ কেউ মনে করেন, রাজ্যের অন্যত্র জমে পড়ে থাকা মামলা নতুন তিনটি এজলাসে স্থানান্তরিত না-হলে আখেরে কোনও লাভ হবে না। আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক এ দিন বলেন, এই বছরের শেষে সিবিআইয়ের জন্য রাজ্যে আরও তিনটি এজলাস চালু হবে। আলিপুর, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে ওই তিনটি এজলাস চালু হয়ে গেলে রাজ্যে সিবিআইয়ের সব মামলারই শুনানি হবে তাদের জন্য নির্দিষ্ট এজলাসে।

চালকলে বসে ধান কিনবে রাজ্য
দালালদের দৌরাত্ম্যে চাষিরা ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হন। তাই ফড়ের হাত থেকে তাঁদের রেহাই দিতে খাদ্য দফতরের অফিসারেরা চালকলের চত্বরে বসেই সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে ধান কিনবেন। বুধবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “সোমবার থেকেই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। চালকলে বসে খাদ্য দফতর যে-ধান কিনবে, তা সঙ্গে সঙ্গেই সেই কলে ভাঙাতে দেওয়া হবে।” মন্ত্রী জানান, ধানের সংগ্রহমূল্য নির্ধারিত হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ১০০০ টাকা। সরকারের বক্তব্য, খাদ্য দফতর আগে বেনফেড, কনফেড ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে কৃষকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করত। মন্ত্রী বলেন, “ওই পদ্ধতিতেও ফড়েরা বিশেষ সুযোগ পেয়ে যেত। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, সরাসরি চাষিদের কাছ থেকেই ধান কিনতে হবে।”

পঞ্চায়েতের মাধ্যমে জল
গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে চায় রাজ্য সরকার। জলবাহিত রোগের প্রকোপ ঠেকাতেই এই উদ্যোগ। বুধবার বিধানসভায় পঞ্চায়েত দফতরের বাজেট পেশ করে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ জানান, জল পরীক্ষার কাজ চলছে ৮০টি বেসরকারি পরীক্ষাগারে। জেলাতেও জল পরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। ২০১১-’১২ সালের বাজেটে শুধু এই খাতেই বরাদ্দ করা হয়েছে ২৯.৮৫ কোটি টাকা। বাজেট বিতর্কে গ্রামবাসীদের ‘জব-কার্ড’ প্রসঙ্গও উঠে আসে। সিপিএমের তোয়েব আলি থেকে তৃণমূলের বিপ্লব রায়চৌধুরীর অভিযোগ, যাঁদের জব-কার্ড পাওয়ার কথা, তাঁরা পান না। এই নিয়ে দুর্নীতি চলছে। মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি রুখতে ‘বায়োমেট্রিক কার্ড’ চালু হচ্ছে। বীরভূমে ইতিমধ্যেই তা চালু হয়েছে। অন্য জেলাতেও হবে। ওই দফতরের ৪১২৯ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট এ দিন বিধানসভায় পাশ হয়ে যায়।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.