প্রায় ১৩ দিন বন্ধ থাকার পরে আজ, বৃহস্পতিবার খুলবে পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির স্পঞ্জ আয়রন কারখানা। কারখানা খোলার ব্যাপারে বুধবার রঘুনাথপুরের মহকুমাশাসক আবিদ হোসেন নিজের দফতরে বৈঠক করেন। বৈঠকে তৃমমূল ও তাদের শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং কারখানার ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন। মহকুমাশাসক বলেন, “ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে কারখানা খোলা হবে।” মজুরি বাড়ানোর দাবিতে তৃণমূল আন্দোলন শুরু করার ফলে গত ১২ অগস্ট কারখানায় সাসপেনশন অব ওয়ার্কের নোটিস দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তৃণমূলের সঙ্গে দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের বিরোধের জেরে কারখানায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল। পরে দলের অঞ্চল কমিটির নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনকে প্রত্যাহার করার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা নেতৃত্ব। আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিলেও প্রশাসনিক স্তরে বৈঠক না হওয়ায় কারখানা খুলতে রাজি ছিলেন না কর্তৃপক্ষ। রঘুনাথপুরের সহকারী শ্রম মহাধ্যক্ষ অশোককৃষ্ণ সাহা বলেন, “মজুরি বাড়ানোর বিষয়েও ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। কিছু পদ্ধতি ও নিয়ম মেনে মজুরি বাড়ানো হয়। ফলে পরবর্তী বৈঠকে বিষয়টি চূড়ান্ত করে নেওয়া হবে।” কারখানার ম্যানেজার অজয় শর্মা বলেন, “কাজের পরিবেশ বজায় থাকবে না বলে জানিয়েছে সকলেই। ফলে কারখানা খুলতে সমস্যা নেই।”
|
রাত ৯টার পরে ঘেরাও মুক্ত হলেন পুরুলিয়া সেচ দফতরের চার আধিকারিক। বকেয়া টাকার দাবিতে মঙ্গলবার জেলা সেচ দফতরের কাজকর্ম বন্ধ করেছিলেন সেচ ও ক্ষুদ্র সেচ ঠিকাদার সমিতির সদস্যরা। দফতরের আধিকাকিরের ঘরের সামনে বসে পড়ায় কোনও কর্মী অফিসে ঢুকতে পারেননি। তাঁরা ঘরের সামনে বসে থাকায় দফতরের সুপারিন্টেডিন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার গঙ্গাধর দে, তিন নির্বাহী বাস্তুকার অমিত রায় (সেচ), সঞ্জয় সিংহ (নির্মাণ) ও তপন বিশ্বাস (তদন্ত ও পরিকল্পনা) আটকে থাকেন। সংগঠনের সম্পাদক দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, “আমাদের ৮২ জন ঠিকাদার ২০০৮ সাল থেকে টাকা পাচ্ছেন না। দফতরের আধিকারিকদের বার বার বলা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও চিঠি লেখা হয়েছে। তবু টাকা পাওয়া যায়নি। রাত বাড়লেও ঘেরাও তোলার কর্মসূচি আমাদের ছিল না।” খবর পেয়ে পুলিশ, বিধায়ক কেপি সিংহ দেও আসেন। বিধায়ক বলেন, “সেচ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। শীঘ্রই বকেয়া কিছু টাকা ঠিকাদারদের দেওয়া হবে।” এর পরেই তাঁরা ঘেরাও মুক্ত হন। সেচ দফতরের আধিকারিক অমিত রায় বলেন, “রাত পর্যন্ত ঘেরাও হয়েছিলাম। কর্তৃপক্ষ ও বিধায়ককে জানিয়েছিলাম।” |