|
|
|
|
কলেজে ঢুকে মারধর, অভিযুক্ত টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর |
অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ে ঢুকে বিনা কারণে চার ছাত্রছাত্রীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি পাপন সরকার ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে। সুদীপ রায় নামে দ্বিতীয় বর্ষের প্রহৃত এক ছাত্রকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বুধবার প্রহৃতেরা এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পাপনবাবু। তাঁর দাবি, “আমি কাউকে মারধর করিনি। উল্টে আমাদেরই মারধর করা হয়েছে। পুরপ্রধান সিপিএমের সঙ্গে সমঝোতা করে বেআইনি ভাবে ওই কলেজে চার জন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করিয়েছেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার আমরা অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিই। সেই কারণেই সিপিএমের মদতে কয়েক জন ছাত্র আমাদের মারধর করে।”
এই ঘটনায় ওই এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের প্রকাশ্যে এল। কেননা, অশোকনগর-কল্যাণগড় পুরসভা তৃণমূলের দখলে। পুরপ্রধান তৃণমূলের সমীর দত্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “কলেজে কাউকে ঢোকানো হয়নি। সিপিএমের মদতে কলেজে অশান্তি হচ্ছে। তাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কেউ কেউ জড়িয়ে পড়ছেন।” মঙ্গলবার কলেজে পড়ুয়াদের মারধরের কথা মেনে নিয়েছেন অধ্যক্ষ সুধানাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও পদেই কাউকে নিয়োগ করা হয়নি।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সঞ্জয় রাহা বলেন, “আমরা কলেজে কড়া নজর রাখছি। যারা গণ্ডগোল করবে, তাদের সংগঠন থেকে বের করে দেওয়া হবে।” সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যসেবী কর বলেন, “ওই কলেজের ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে রয়েছে। কিন্তু এসএফআইয়ের কাউকে কলেজে ঢুকতে দেওয়া হয় না। ফলে, আমাদের গণ্ডগোল করার প্রশ্নই ওঠে না। এই ঘটনা তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বেরই ফল।” |
|
|
 |
|
|