|
|
|
|
মা-বাবা বাড়িছাড়া |
অত্যাচারী ছেলেকে ধরে আনার নির্দেশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নির্দিষ্ট আইন হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে আদালত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে। কিন্তু বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের উপরে, বিশেষ করে বাবা-মায়ের উপরে ছেলেমেয়েদের অত্যাচার বন্ধ হচ্ছে না। এই অবস্থায় মা-বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে অত্যাচারী ছেলেকে কলকাতা হাইকোর্টে হাজির করানোর নির্দেশ দিল বিচারপতি পিনাকী ঘোষ ও বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই ছেলে টাকার দাবিতে মা-বাবার উপরে অত্যাচার চালায় বলে অভিযোগ। ছেলের অত্যাচারে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এখন বাড়িছাড়া। ছেলেটিকে ধরে আনার জন্য বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার ইনস্পেক্টর ইনচার্জকে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
হাড়োয়া থানার চণ্ডীবাড়ির বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ধনঞ্জয় মণ্ডল আদালতে জানান, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও বাড়িতে রয়েছেন তাঁর ছেলে প্রকাশ এবং বৌমা অপর্ণা। তাঁর অভিযোগ, ছেলে জুয়া খেলে এবং মদ্যপান করে। টাকা আদায়ের জন্য মাঝেমধ্যেই মা-বাবার উপরে অত্যাচার করে। তাঁরা দু’জনেই ছেলেকে এ ব্যাপারে অনেক বুঝিয়েছেন। কিন্তু ছেলের কোনও পরিবর্তন হয়নি। বরং অত্যাচারের মাত্রা এবং টাকার দাবি বেড়ে চলেছে।
পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে ওঠায় শেষ পর্যন্ত ওই বৃদ্ধ দম্পতি ছেলের বিরুদ্ধে হাড়োয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। উল্টে পুলিশের কাছে যাওয়ার জন্য তাঁদের উপরে অত্যাচারের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে ছেলে। ধনঞ্জয়বাবু আদালতে জানান, ছেলের অত্যাচারে তাঁরা এখন বাড়িতে থাকতে পারছেন না।
ডিভিশন বেঞ্চ এ দিন জানায়, ছেলে মা-বাবার উপরে অত্যাচার করবে, ভয় দেখিয়ে টাকাপয়সা কেড়ে নেবে, এটা চলতে পারে না। সব জেনেও নীরব দর্শক হয়ে থাকতে পারে না আদালত। অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধা নিজের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াবেন, পুলিশকে জানিয়েও সহায়তা পাবেন না এটাও বরদাস্ত করবে না হাইকোর্ট। ওই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা যাতে নিশ্চিন্তে শান্তিতে থাকতে পারেন, পুলিশকে তাঁর ব্যবস্থা করতে হবে বলে থানাকে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। পুলিশকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ছেলেকে আদালতে হাজির করাতে হবে। আদালতে হাজির হয়ে প্রকাশকে ঘটনার বিবরণ দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী কালে সে কী করবে, সেই ব্যাপারে একটি হলফনামা দিতে হবে।
|
|
|
|
|
|