|
|
|
|
জলদস্যুর খপ্পর থেকে উদ্ধার দুই মৎস্যজীবী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ক্যানিং |
জলদস্যুদের হাতে আটক দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করল পুলিশ।
বুধবার রাতে সুন্দরবনের বাংলাদেশ সীমান্তে চামটা ও বৈকুণ্ঠহানা জঙ্গলের কাছে জলদস্যুরা তিনটি মাছ ধরার নৌকা-সহ ৯ জন মৎস্যজীবীকে আটক করে। আটক মৎসজীবীরা সকলেই ঝড়খালি থেকে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে তাঁরা যখন বৈকুণ্ঠহানা জঙ্গল, বৈকুণ্ঠ খাল এলাকায় মাছ ধরছিলেন সেই সময় জলদস্যুরা তাঁদের উপরে হামলা করে ও নৌকা-সহ তাঁদের আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে।
এ দিন উদ্ধার হওয়া দুই মৎস্যজীবী প্রহ্লাদ রায় ও নিখিল বিশ্বাস পুলিশকে জানান, গত ২০ অগস্ট তাঁরা তিনটি নৌকায় করে ৯ জন মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা চামটা ও বৈকুণ্ঠহানা জঙ্গলের কাছে জলদস্যুদের খপ্পরে পড়েন। জলদস্যুরা তাঁদের দু’জন এবং চিদানন্দ গাইন নামে আর এক জনকে বলে, ২০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ না পেলে তাঁদের ছাড়া হবে না। তাঁদের তিন জনকে আটকে রেখে বাকি ৬ জনকে তারা মুক্তিপণের টাকা আনার জন্য ছেড়ে দেয়। প্রহ্লাদ ও নিখিলবাবু আরও জানান, তাঁদের দু’জনের বাড়ি থেকে মোট ৪০ হাজার টাকা দেওয়ার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। মুক্তিপণের টাকা নিয়ে যান প্রহ্লাদবাবুর আত্মীয় তুষার রায়। কিন্তু চিদানন্দবাবুর বাড়ি থেকে কোনও মুক্তিপণ না পাওয়ায় জলদস্যুরা তাঁকে নিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায়। এর পর তাঁরা বৈকুণ্ঠহানা জঙ্গলের কাছেই ছিলেন।
বুধবার ভোরে পুলিশ গিয়ে দু’জনকে উদ্ধার করে। জেলাশাসক নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, “উদ্ধার হওয়া ওই দুই মৎস্যজীবীর বয়ান অনুযায়ী যে মৎস্যজীবীকে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, তাঁর ব্যাপারে খতিয়ে দেখতে বিএসএফ এবং বিডিআর কর্তারা ফ্ল্যাগ মিটিং করছেন।” জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কঙ্করপ্রসাদ বাড়ুই বলেন, “জলদস্যুদের হাতে মৎস্যজীবীদের আটকে থাকার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয় পুলিশ। যায় বিএসএফের লোকজনও। প্রহ্লাদ ও তুষার নামে দুই মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা হলেও চিদানন্দকে উদ্ধারের ব্যাপারে বিএসএফের সঙ্গে বিডিআর (বাংলাদেশ রাইফেলস)-এর আলোচনা চলছে। তবে পুরো ঘটনাটিতেই ধোঁয়াশা রয়েছে। উদ্ধার হওয়া দুই মৎস্যজীবীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
|
|
|
|
|
|