|
|
|
|
মাওবাদী এলাকার উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা |
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ১৩ই |
রোশনী মুখোপাধ্যায় • কলকাতা |
দেশের মাওবাদী অধ্যুষিত, পিছিয়ে পড়া ৬০টি জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। এ রাজ্যে থেকে একমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসকই সেখানে উপস্থিত থাকবেন। অনুন্নত, মাওবাদী এলাকায় উন্নয়নের কাজ কেমন চলছে, কাজের ক্ষেত্রে কী সমস্যা হচ্ছে, কাজের পদ্ধতি বদলানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে কি না এ সব জানতেই ১৩ সেপ্টেম্বর বৈঠক হবে নয়াদিল্লিতে। তার আগে ৩০ অগস্ট হবে প্রস্তুতি বৈঠক। বৈঠকে যোগ দেওয়ার আগে সব প্রকল্পের হাল-হকিকত জানতে বুধবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক সুরেন্দ্র গুপ্ত। ক’দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করা হবে। ১৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই রিপোর্ট পেশ করা হবে।
মাওবাদী প্রভাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের পিছিয়ে পড়া জঙ্গলমহলের উন্নয়নে রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে কেন্দ্রও। ‘ইন্টিগ্রেটেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (আইএপি)-এ কেন্দ্রীয় অর্থে হচ্ছে উন্নয়নের কাজ। কেন্দ্রীয় সরকারের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে, চোখে দেখা যায়, এমন কাজই আইএপি’তে করবে হবে। চলতি বছর থেকেই এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত আর্থিক বছরে আইএপি-তে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পেয়েছিল ২৫ কোটি টাকা। চলতি আর্থিক বছরে ফের ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। পরে ফের ২০ কোটি টাকা দেওয়ার সবুজ সঙ্কেত মিলেছে কেন্দ্রের তরফে। প্রথম দফার অর্থে সব মিলিয়ে ৬৪৩টি প্রকল্প হওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই ৫২৬ টি প্রকল্পের কাজ হয়েছে।
বন দফতরের মাধ্যমেই আইএপি’র কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু কাজ এগোনোর ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে রাজি না হওয়ায় জঙ্গলমহলে বেশ কিছু প্রকল্পের কাজ এগোনো যাচ্ছে না। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের কথায়, “ঠিকাদারেরা ‘ঝুঁকি’ নিয়ে কাজ করতে চাইছেন না বলেই এই পরিস্থিতি। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হলে একটির বেশি দরপত্র জমা পড়ছে না। ফলে কাজের বরাত দেওয়াও সম্ভব হচ্ছে না।” সূত্রের খবর, প্রকল্প রূপায়ণে পদ্ধতিগত কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কি না, তা নিয়েও ১৩ সেপ্টেম্বরের বৈঠকে আলোচনা হবে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা যে সব গ্রামের উপর দিয়ে যাবে, নিয়ম মাফিক সেখানে জনসংখ্যা ন্যূনতম ৫০০ হতে হবে। কিন্তু এই সংখ্যা কমিয়ে ৩০০ বা ২৫০ করলে জঙ্গলমহলের অনেক এলাকাতেই এই প্রকল্পে রাস্তা তৈরি সম্ভব।” এই সব প্রস্তাবই দেওয়া হবে নয়াদিল্লির বৈঠকে। তার আগে কাল, শুক্রবার মহাকরণে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হবে। |
|
|
|
|
|