|
|
|
|
মমতার নির্দেশ সত্ত্বেও চলছে ‘জরিমানা’ আদায় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই সিপিএম নেতা-কর্মীদের মারধর, হুমকি, জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপ করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের জেলা সভাপতিদের ডেকে অবিলম্বে এ সব বন্ধ ও জরিমানার টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দলীয় সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তার পরে মাস খানেক কেটে গেলেও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ এলাকাতেই জরিমানার টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি, উল্টে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে জরিমানা আদায় চলছে বলে অভিযোগ। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দীপক সরকার বলেন, “প্রতিদিনই তৃণমূলের লোকজন আমাদের দলীয় কর্মীদের থেকে জরিমানা আদায় করছে, চলছে অত্যাচার।” ঘটনায় ক্ষুব্ধ তৃণমূলের জেলা সভাপতি দীনেন রায়ও। তাঁর বক্তব্য, “বেশ কিছু ব্লকে টাকা আদায়ের কাজ শুরু হয়েছে। কিছু এলাকায় ফেরতও দেওয়া হয়েছে। ১৫ দিনের মধ্যে ব্লক সভাপতিদের সব টাকা আদায় করে ফেরতের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” আর এখনও জরিমানা আদায় প্রসঙ্গে দীনেন বাবু বলেন, “আমিও খবর পেয়েছি। তবে আগের চেয়ে এই প্রবণতা কমেছে। তৃণমূলের বদনাম করতে সদ্য দলে আসা কিছু কর্মীই এ কাজ করছে। আমরা তাদের চিহ্নিত করছি। বেশ কয়েকজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বাকিদেরও বহিষ্কার করে দেব।”
সিপিএম সূত্রের খবর, নারায়ণগড়, কেশপুর, পিংলা, গড়বেতা, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, ক্ষীরপাই এলাকায় বেশি অত্যাচার হচ্ছে। অত্যাচারিতের তালিকাও তৈরি করছে জেলার প্রতিটি জোনাল কমিটি। শীঘ্রই ওই তালিকা তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হবে বলে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘাটালের দেওয়ানচক পঞ্চায়েতের নির্মল দে, নিরাপদ দোলই, চৌকার বরুণ ভুঁইয়া, কিসমত দেওয়ানচকের গৌর দাস, মনসুকার অষ্ট হাজরা, চন্দ্রকোনার কুঁয়াপুরের রামপদ পাল, বরেন পাল, ভগবন্তপুরের নজু ভাঙি, বসনছড়ার বংশি দাস, শিমলার বীরেন্দ্র জানা, গড়বেতার কার্তিক মণ্ডলরা বলেন, “তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা জোর করে আমাদের থেকে টাকা আদায় করেছে। এতদিন বলার সাহস ছিল না। এখন মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে লিখিত ভাবে তৃণমূল নেতাদের সব জানিয়েছি।” সিপিএমের ঘাটাল জোনাল কমিটির সম্পাদক অশোক সাঁতরা, চন্দ্রকোনা জোনাল সম্পাদক গুরুপদ দত্ত জানান, শতাধিক দলীয় কর্মীর নাম পাওয়া গিয়েছে, যাঁরা জরিমানা দিতে বাধ্য হয়েছেন। শাখা কমিটি স্তরেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। সিপিএমের দাসপুরের জোনাল কমিটির সম্পাদক সুনীল আধিকারী বলেন, “তৃণমূলের লোকজন জরিমানা বাবদ আট থেকে দশ লক্ষ টাকা নিয়েছে। এখনও জরিমানা করা হচ্ছে।” তবে এ সব বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হচ্ছে বলেই তৃণমূল নেতৃত্ব জানিয়েছেন। |
|
|
|
|
|