ভাইচুং অবসর নেওয়ার দিনই তাঁকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে বোমা ফাটালেন প্রাক্তন জাতীয় কোচ সৈয়দ নইমুদ্দিন। আর দেশের সবচেয়ে দামি ফুটবলার ওডাফা ওকোলি বললেন, এই অবসরে ভারতীয় ফুটবলে কোনও অন্ধকার নেমে আসবে না।
দেশের একমাত্র দ্রোণাচার্য ফুটবল কোচ নইমের গুরুতর অভিযোগ, “২০০৬-এ ইয়েমেন ম্যাচে সাত-আট জন ফুটবলারকে নিয়ে ভাইচুং ষড়যন্ত্র করে ভারতকে ডুবিয়েছিল।” পাশাপাশি দাবি, “ম্যাচের আগে ফুটবলারদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছিল ভাইচুং। কী করেছিল এবং বলেছিল তা নিয়ে সি বি আই তদন্ত হওয়া দরকার। কারণ ওই বৈঠকে থাকতে চাওয়া সত্ত্বেও গোলকিপার কোচ অতনু ভট্টাচার্যকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সিবিআই দোষ না পেলে আমায় মেরে ফেলা হোক।”
পাঁচ বছর আগের ওই ম্যাচ হেরে চাকরি যায় নইমের। তাঁর ধারণা, ভাইচুংরা কয়েক জন মিলে ইচ্ছে করে দলকে হারিয়েছিল। নইমের রাগ এতটাই যে ভাইচুংকে ভারতীয় ফুটবলের আইকন বলতেও নারাজ তিনি। বললেন, “যে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে, প্রতারণা করে দেশকে হারায়, তাকে আইকন সাজানোর চেষ্টা হচ্ছে। এটা মানা যায় না। ওর চেয়ে আইএম বিজয়ন একশো ভাগ বড় ফুটবলার। ভাইচুংয়ের চেয়ে অনেক শৃঙ্খলাপরায়ণ।”
নইমের অভিযোগ সম্পর্কে কোনও বিতর্কে ঢুকতে চাননি অতনু ভট্টাচার্য। ট্রেভর মর্গ্যানের বর্তমান গোলকিপার কোচ বললেন, “সভা একটা হয়েছিল ঠিক। আমি থাকতে চেয়েছিলাম। ভাইচুং তখন বলেছিল এটা শুধু ফুটবলারদের সভা। এ রকম সভা আমাদের আমলেও হত। এত দিন পরে এই কথার কোনও মানে হয় না।” এ দিনই ওডাফা মোহনবাগান মাঠে সাংবাদিকদের বলে দিলেন, “ভাইচুং খুব বড় ফুটবলার। দীর্ঘদিন জাতীয় দলে সুনামের সঙ্গে খেলেছে। তবে ফুটবল মাঠে কেউই অপরিহার্য নয়। ভাইচুংয়ের জায়গা কেউ না কেউ নেবেই আগামী দিনে।” ভাইচুংয়ের উত্তরসূরি হিসেবে কাকে বাছবেন? এড়িয়ে যান ওডাফা, “আমি কোচ নই। কোচেরাই এ ব্যাপারে ভাল বলতে পারবেন। ” |