|
|
|
|
পশ্চিম মেদিনীপুরে বৈঠক করবে বিজেপি |
রোশনী মুখোপাধ্যায় • কলকাতা |
রাজ্য পদাধিকারী এবং কর্মসমিতির বৈঠক করতে রাজ্যের রাজধানী কলকাতা ছেড়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে যাচ্ছে বিজেপি। আগামী শুক্রবার থেকে তিন দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে ওই বৈঠক হবে।
প্রথম দিন রাজ্য পদাধিকারীরা এবং পরের দু’দিন রাজ্য কর্মসমিতির
সদস্যরা বৈঠক করবেন। ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা এবং আন্দোলন কর্মসূচি বিষয়ে পরামর্শ দিতে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও ওই বৈঠকে আগাগোড়া উপস্থিত থাকবেন। যেমন প্রথম দিন খড়্গপুরে রাজ্য পদাধিকারী বৈঠক এবং
মেদিনীপুরে প্রকাশ্য সমাবেশে থাকবেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুখতার আব্বাস নকভি।
দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রামলালজি থাকবেন প্রথম দু’দিন। তিন দিনই থাকবেন রাজ্যসভার সাংসদ চন্দন মিত্র এবং জাতীয় কর্মসমিতির
সদস্য সিদ্ধার্থনাথ সিংহ। এ হেন একটি বৈঠক কলকাতার বদলে পশ্চিম মেদিনীপুরে আয়োজন করা নিয়ে প্রত্যাশিত ভাবেই রাজনৈতিক শিবিরে কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহ জানাচ্ছেন, সম্প্রতি তাঁরা পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন প্রায় ৬৮০০ সদস্য পেয়েছেন। ওই নতুন সদস্যদের ‘উৎসাহ’ দিতে এবং বিজেপি-তে যোগদানের এই প্রবণতা অক্ষুণ্ণ রাখতেই এ হেন ‘হেভিওয়েট’ বৈঠকের স্থল হিসাবে পশ্চিম মেদিনীপুরকে বাছা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় বিজেপি-র রাজ্য সম্মেলন হয়েছিল।
কিন্তু হঠাৎ দলে দলে লোক বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন কেন? তাদের এক জনও বিধায়ক না থাকা সত্ত্বেও? রাহুলের দাবি, “সিপিএম ছেড়ে প্রচুর লোক আমাদের দলে আসছেন। কারণ, বিধানসভা ভোটে বিপুল হারের পরে এখন সিপিএম নেতৃত্ব দিশাহীন। পশ্চিম মেদিনীপুরে সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা সুশান্ত ঘোষ বিধানসভা ভোটে জিতলেও কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়ে জেলে। এই অবস্থায় তৃণমূলের আক্রমণে কোণঠাসা বা ঘরছাড়া দলীয় কর্মীদের আশ্রয় দিতে সিপিএম নেতৃত্ব ব্যর্থ। সেই কর্মীরা বিজেপি-তে আসছেন।” রাহুল আরও জানান, তাঁরা বাঁকুড়ায় ৩৩০০ এবং পুরুলিয়ায় ২৫০০ নতুন সদস্য পেয়েছেন। তাদেরও বেশির ভাগ এসেছে সিপিএম ছেড়ে।
বিজেপি-র অন্দরের ব্যাখ্যা, বাম জমানায় বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরজঙ্গলমহলের এই তিন জেলাতেই সিপিএমের একাধিপত্য চলত ‘অস্ত্রের জোরে বা অন্যান্য উপায়ে ভয় দেখিয়ে’। কিন্তু এ বার বিধানসভা ভোটে শাসক বদলানোয় ওই তিন জেলাতেই সিপিএম ‘ভয় দেখানোর বদলে নিজেরাই ভয় পাচ্ছে’। সেই সুযোগেই লাভ হচ্ছে বিজেপি-র। |
|
|
|
|
|