অস্ত্রের কোপে বধূ খুন, শ্বশুর ও ননদ গ্রেফতার
বৌদিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দেওরের বিরুদ্ধে।
বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মগরা থানার শঙ্খনগর গ্রামে। মৃতার নাম মিতা দেবনাথ (৩২)। খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশ নিহতের শ্বশুর এবং ননদকে গ্রেফতার করেছে। শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারের অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। দেওর অবশ্য পলাতক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ মিতাদেবী খাবার জল আনতে পাড়ার কলে গিয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে পিছন থেকে দেওর শ্রীকৃষ্ণ দেবনাথ ধারাল অস্ত্র দিয়ে বৌদির ঘাড়ে পর পর দু’টি কোপ মারেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিতা। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
চিৎকার-চেঁচামিচিতে প্রতিবেশিরা ছুটে আসেন। তত ক্ষণে সাইকেল নিয়ে সরে পড়েছেন শ্রীকৃষ্ণ। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। পরে গ্রেফতার করা হয় মিতাদেবীর শ্বশুর নিতাই দেবনাথ ও ননদ শঙ্করী দেবনাথকে।
নিহত বধূর স্বামী গোপাল দেবনাথ বাঁশবেড়িয়ার গ্যাঞ্জেস জুটমিলের কর্মী। ঘটনার সময় তিনি সেখানেই ছিলেন। খবর শুনে ছুটে আসেন। পাণ্ডুয়া থেকে মিতার বাপের বাড়ির লোকজনও হাজির হন।
পুলিশ জানায়, বছর তেরো আগে পান্ডুয়ার চন্দ্রহাটি গ্রামের মিতার সঙ্গে মগরার শঙ্খনগরের গোপালের বিয়ে হয়। দেবনাথ দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়ে। গোপালবাবুই পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী। বাবা, মা, ভাই এবং বোন সকলেই তাঁর রোজগারের উপরে নির্ভরশীল। অভিযোগ, সে জন্যই গোপালবাবুর বিয়ের পর থেকেই তাঁর স্ত্রী মিতাদেবীর উপর মানসিক এবং শারীরিক অত্যাচার শুরু করেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতার দাদা অমর দেবনাথ মগরা থানায় লিখিত ভাবে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
তবে, ঠিক কী কারণে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর বৌদিকে খুন করলেন, তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.