|
|
|
|
বন্ধ-অবরোধের জেরে পণ্য সঙ্কট |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
বন্ধ, অবরোধ, আন্দোলনে বিপর্যস্ত মণিপুরে এ বার আরও একটি জেলার দাবি নিয়ে আন্দোলন শুরু হল। ফলে সঙ্কট আরও বাড়ল।
সদর হিল ও জিরিবাম জেলা গড়ার দাবি নিয়ে এমনিতেই উত্তাল মণিপুর। দাবির পক্ষে ও বিপক্ষে ডাকা হয়েছে টানা বন্ধ। সব ক’টি জাতীয় সড়কে চলছে অবরোধ। রাজ্যের প্রশাসন ও যাবতীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়ার উপক্রম। এই বেহাল দশার মধ্যেই ‘টংজেই মারিন জেলা দাবি কমিটি’ নতুন টংজি মারিন জেলা গঠনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছে। এ বারেও আন্দোলনের কেন্দ্রে পার্বত্য মণিপুর। কাল লাঙ্গল এলাকায় জেলা কমিটির প্রথম জনসভায় কমিটির চেয়ারম্যান আবোন কামেই জানান, তামেংলং ও সেনাপতি জেলার অংশ বিশেষ নিয়ে টংজেই মারিন জেলা গঠন করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
চলতি মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া লাগাতার বন্ধ ও অর্থনৈতিক অবরোধের জেরে মণিপুরের অধিকাংশ এলাকাতেই খাদ্যশস্য ও জ্বালানির ভাণ্ডার প্রায় শেষ। বড় জোর সপ্তাহখানেক চলবে।
খাদ্য ও গণবণ্টন দফতর জানিয়েছে, রাজ্যে এখন মাত্র ৪২৮ কিলোলিটার পেট্রোল রয়েছে। ডিজেল আছে ২২৫২ কিলোলিটার। এই তেলে অত্যাবশ্যকীয় গাড়িগুলি চলবে। তা-ও বড় জোর দিন দশেক। এই অবস্থায়, মণিপুরের পথেঘাটে এখন কেবলই সাইকেলের সারি চোখে পড়ছে। এমনকী সরকারি আমলা ও পুলিশকর্তাদেরও চারচাকার আরাম ছেড়ে সাইকেলে যেতে হচ্ছে দফতরে। গত বছর খোয়াইয়ামবাঁধ কাণ্ডের পরে ফের এমন অবস্থা।
টান পড়ছে অত্যাবশ্যকীয় পণ্যেরও। রাজ্যের খাদ্য নিগমের গুদামে যা চাল রয়েছে, তাতে মেরেকেটে সাত দিন চলতে পারে। বাড়ন্ত চিনি, কেরোসিন ও গমের ভাণ্ডারও। খাদ্য ও গণবন্টন মন্ত্রী এন বীরেন সিংহ জানান, পরিস্থিতির মোকাবিলায় ১০০টি ট্যাঙ্কার ও ৪০০টি পণ্যবাহী ট্রাক ইম্ফলে আনার চেষ্টা চলছে। ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে আসবে ট্রাকগুলি। কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ট্রাকগুলি আনা হবে। |
|
|
|
|
|