|
|
|
|
টিচার ইনচার্জ নিয়োগের দাবি, তালা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মাড়গ্রাম |
অবিলম্বে স্কুলে টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করা, স্কুলে নিয়মশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবিতে প্রায় চার ঘণ্টা শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মচারীদের তালাবন্দি করে রাখলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে মাড়গ্রাম থানার চাঁদপাড়া হাইস্কুলে। বিকেল ৩টে নাগাদ পুলিশ স্কুলে গিয়ে অভিভাবক ও গ্রামাবসীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে। তার পরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
স্কুল পরিচালন সমিতির বিরোধী সদস্য সরোজ সরকার, চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সমর সিংহ, ফরিদ শেখদের অভিযোগ, “পরিচতালন সমিতিতে লিখিত ভাবে অনুমোদন না করিয়ে সম্পাদক ও প্রধান শিক্ষক ভবন নির্মাণের জন্য ব্লক যে পরিমাণ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তা থেকে ২ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন। ২ অগস্ট এ ব্যাপারে তাঁদের কাছে জানতে চাওয়া হয়। সাত দিনের মধ্যে টাকা খরচের হিসেব তাঁরা স্কুলের হিসাব বইয়ে ঢুকিয়ে দেবেন বলে মুচলেকা দেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা হয়নি। ইতিমধ্যে প্রধান শিক্ষক কামারুল হাসান কেবলমাত্র সম্পাদককে জানিয়ে অন্য স্কুলে যোগ দিয়েছেন। অথচ তাঁর কাজের ভার কাউকে দেওয়া হয়নি।”
তাঁদের আরও অভিযোগ, “এই অবস্থায় কার্যত অভিভাবকহীন স্কুলে কোনও প্রশাসনিক কাজ হচ্ছে না। পঠনপাঠনও ঠিক মতো হচ্ছে না। শিক্ষক থেকে শুরু করে অশিক্ষক কর্মচারী কেউই নিময় মেনে স্কুলে আসছেন না।” তাঁদের দাবি, “আমরা চাই অবিলম্বে পরিচালন সমিতি টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করুক। তা না হলে এ ভাবে স্কুল চলতে পারে না।”
এ সবের প্রতিবাদে এ দিন দুপুর ১২টার সময় বিক্ষোভকারীরা ২১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ৩ জন অশিক্ষক কর্মচারীকে টিচার্সরুমে আটকে রাখেন। স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “কউকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার আগে প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। অন্য জায়গায় যোগ দিতে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে যাতে সমস্যায় না পড়তে হয় সে জন্য একাধিকবার বলেছিলেন। সেই জন্য তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হই। পরবর্তীকালে এক জন শিক্ষককে টিচার ইনচার্জ পদে নিয়োগ করার কথা বলা হলেও পরিচালন সমিতির সদস্যদের মধ্যে কেউ ওই শিক্ষককে মেনে নিতে পারেননি।”
তিনি পাল্টা দাবি করেন, “সমিতির সদস্যরা নিজেদের মতো করে টিচার ইনচার্জ নিয়োগ করতে চাইছেন। তা ছাড়া, এক শ্রেণির অভিভাবক প্রতিনিধি কেবলমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে স্কুলে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছেন। স্কুলের হিসাব বইয়ে ২ লক্ষ টাকা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।” রামপুরহাট মহকুমা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) ভাস্বতী ভট্টাচার্য বলেন, “এ ভাবে প্রধান শিক্ষককে ছেড়ে দেওয়া স্কুল পরিচালন সমিতির ঠিক হয়নি। দেখা যাক কী করা যায়।” |
|
|
|
|
|