নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর |
পথ অবরোধ হঠানোর সময়ে এক স্থানীয় ব্যবসায়ীকে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে একটি বণিক সংগঠন। অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত করে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক।
এর আগে ওই ঘটনায় স্থানীয় ছয় জন সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে পুলিশ অভিযোগ দায়ের করায়, কাঁকসা থানার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিল সিপিএম।
গত ২ অগস্ট পানাগড়ের দু’নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, জাতীয় সড়কের ওই অংশ সংস্কারের কাজ করছেন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। সে জন্য রাস্তার পাশে বিভিন্ন জায়গায় বোল্ডার ফেলে রাখা হয়েছে। তার ফলেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে। কাঁকসা থানার পুলিশ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল ছোড়ে। দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার একটি বাসে ভাঙচুরও চালানো হয়। দুর্গাপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শুভঙ্কর সিংহ সরকারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা আশপাশের বাড়ি, গ্যারাজে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ সেখানে ঢুকে, টেনে বের করে তাদের। ওই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় চার ঘণ্টা পরে জাতীয় সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। অভিযোগ, সে দিন পুলিশ ওই এলাকার এক ব্যবসায়ী রতন অগ্রবালের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ও তাঁর পরিবারের লোকজনদের মারধর করে। রতনবাবু বলেন, “অবরোধ তুলতে পুলিশ মহিলাদেরও মারধর করছে দেখে প্রতিবাদ করি। পুলিশ আমাকে লাঠি দিয়ে পেটায়। কাঁকসা থানার ওসিকে বিষয়টি জানাই। বড় পুলিশ বাহিনী আসছে জানিয়ে নিরাপদ জায়গায় চলে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।”
রতনবাবু জানান, এর পরে তিনি তাঁর আটা চাকি মিলের উপরে দাদার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন। তাঁর অভিযোগ, কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ তিনটি দরজা ভেঙে দাদার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে, তাঁর স্ত্রী, দাদা ও দাদার ছেলের উপরে চড়াও হয়। তিনি বলেন, “আমাদের ব্যাপক মারধর করা হয়। প্রথমে কাঁকসা থানার পুলিশ, পরে বাইরে থেকে আসা পুলিশ আমার উপরে চড়াও হয়।”
রতনবাবু ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ-এর অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক। পরের দিন তিনি বণিক সংগঠনে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানান। সম্প্রতি ওই বণিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাজেন্দ্রপ্রসাদ খেতান মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
তিনি বলেন, “যে ভাবে এলাকার এক পরিচিত ব্যবসায়ী ও তাঁর পরিবারের উপরে পুলিশ চড়াও হয়েছে, তা নিন্দনীয়। পুরো ঘটনার তদন্ত করে দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে।” জেলা পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে।
রাস্তায় ধস। জামুড়িয়ার সাতগ্রামের কাছে একটি রাস্তার প্রায় ২ একর অংশ বুধবার ফুট তিনেক বসে যায়। এই ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। এরিয়া কর্তপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, এক সময়ে এই এলাকায় অবৈধ খনির রমরমা কারবার ছিল। তার জেরেই এ দিন ওই রাস্তায় এমন ঘটনা ঘটেছে। |