|
|
|
|
সিপিএম কার্যালয়ে ভাঙচুর রায়গঞ্জে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
সিপিএমের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রায়গঞ্জের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রেল ঘুমটি এলাকা। সোমবার সকালে ওই অফিসে ছত্রভঙ্গ অবস্থায় দেখতে পেয়ে সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান সিপিএম সমর্থকরা। কংগ্রেস ও তৃণমূল কর্মীরাও পাল্টা রাস্তা অবরোধ করেন। তাঁদের অভিযোগ, সিপিএম সমর্থকেরাই রাতে পার্টি অফিস ভেঙে তৃণমূল ও কংগ্রেসের সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। অবস্থা সামাল দিতে গিয়ে কংগ্রেস-তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন রায়গঞ্জের ডিএসপি অম্লান ঘোষ-সহ পুলিশ অফিসাররা। পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তোলা হয়। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তাঁদের। পরে আরও পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। ডিএসপি বলেন, “পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ঠিক নয়। সব দলের অভিযোগই খতিয়ে দেখে শীঘ্রই দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা হবে। এলাকায় যাতে নতুন করে উত্তেজনা না ছড়ায় সে জন্য পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।” |
|
ছবি: তরুণ দেবনাথ। |
সিপিএমের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা দলীয় কার্যালয়ের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। একাধিক চেয়ার, টেবিল ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি চেয়ার বেঞ্চ ভাঙচুর করে পাশের একটি নয়ানজুলিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের ওই অফিসের পাশেই রয়েছে কংগ্রেস ও তৃণমূলের একটি নির্বাচনী কার্যালয়। রবিবার রায়গঞ্জে পুর নির্বাচন ছিল। ভোট শেষ হওয়ার পরে রাত পর্যন্ত দুটি পার্টি অফিসে দলীয় সমর্থকরা ছিলেন। সিপিএমের কাউন্সিলর অনন শর্মা বলেন, “নির্বাচনের কয়েকদিন আগে থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূলের কর্মী সমর্থকেরা আমাদের কর্মীদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের ২৫০ জন ভোটারকে বুথে যেতে দেওয়া হয়নি। সিপিএম ও ডিওয়াইএফকে নিশ্চিহ্ন করতে হামলা চালানো হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরা না-হলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হবে।” ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস-তৃণমূল জোট প্রার্থী তথা তৃণমূল নেতা রতন মজুমদার বলেন, “সিপিএম পুর নির্বাচনে ওই ওয়ার্ডে হার বুঝতে পেরে নিজেরাই দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। আমরা ওয়ার্ডে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখেছি। কাউকে ভোট দিতে যেতে বাধা দিইনি।” উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অসীম ঘোষ বলেন, “জেলা পুলিশ কর্তাদের কাছে সিপিএমের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে দোষীদের শাস্তির আর্জি জানিয়েছি। আমাদের দল এইসব ঘটনাকে মদত দেয় না।” রায়গঞ্জ টাউন কংগ্রেসের নেতা আদেশ মাহাতো বলেন, “তৃণমূলের প্রচার মিছিলে জুতো, আবর্জনা ও গরম জল ছুড়ে সিপিএমের সমর্থকরা বুক ফুলিয়ে ঘুরছে। অথচ সিপিএমের পার্টি অফিস ভাঙচুরের মিথ্যে মামলায় কংগ্রেস-তৃণমূল কর্মীদের ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা হচ্ছে।” সিপিএমের নেতা দিলীপ নারায়ণ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের প্রচার মিছিলে হামলা চালাইনি। কংগ্রেস মিথ্যে অভিযোগ তুলে পুলিশকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে।” |
|
|
|
|
|