|
|
|
|
চিকিৎসকদের ৮৮টি পদ শূন্য |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
গত এক বছরে দু’দফায় সংবাদপত্রে শূন্যপদ পূরণের বিজ্ঞাপন দিয়েও লাভ হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন থেকে কোচবিহারের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকের ৮৮টি পদ পূরণ করা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা। সমস্যা মেটাতে কোচবিহারে চাকরি করতে রাজি হলে চিকিৎসকদের ‘বাড়তি উৎসাহ ভাতা’ দেওয়ার চিন্তাভাবনাও শুরু করেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। জেলার চিকিৎসক সমস্যা নিয়ে আলোচনায় রাজ্যের বনমন্ত্রী হিতেন বর্মনকে রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা ওই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। বনমন্ত্রী বলেন, “জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসকের অনেক পদ খালি পড়ে আছে। প্রত্যন্ত জেলা বলে বাইরের চিকিৎসকরা এখানে আসতে রাজি না-হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। সম্প্রতি ওই সমস্যা মেটানোর জন্য স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি কোচবিহারের জন্য বাইরের চিকিৎসকদের বাড়তি উৎসাহ ভাতা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন।” সেই সঙ্গে স্থায়ী চিকিৎসক পদ পূরণের চেষ্টার পাশাপাশি চুক্তি ভিত্তিক চিকিৎসক নিয়োগের বিষয়েও স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে বনমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। তিনি জানান, সাধারণ চিকিৎসকদের জন্য ৩০ হাজার টাকা ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের জন্য ৪০ হাজার টাকা মাসিক পারিশ্রমিকে দ্রুত চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের নির্দেশও জেলা স্বাস্থ্য কর্তারা পেয়ে যাবেন। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মানিকলাল দাস বলেন, “গত এক বছরে দু’বার চিকিৎসক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েও একটি আবেদনপত্র জমা পড়েনি। তাই ৮৮টি চিকিৎসক পদ পূরণ করা যায়নি। আপাতত ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করে চিকিৎসকদের জেলায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। উৎসাহ ভাতার নির্দেশ এখনও পাইনি।” জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে স্থায়ী চিকিৎসকের ১০টি, মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ১১টি, দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ১৮টি সহ কোচবিহার জেলা সদর ও বিভিন্ন ব্লক হাসপাতালে মোট ৮৮টি চিকিৎসকের পদ খালি পড়ে আছে। মাথাভাঙার বাসিন্দা বনমন্ত্রী বলেন, “ওই মহকুমা হাসপাতালে অ্যানাসথেসিস্ট, সার্জেন, টেকনিশিয়ানের গুরুত্বপূর্ণ পদ ফাঁকা থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তুফানগঞ্জেও একই রকম সমস্যার কথা শুনেছি।” স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তুফানগঞ্জে শিশু ও অস্থি বিভাগের পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ। মাত্র একজন চিকিৎসক ওই দুটি দফতর সামাল দিচ্ছেন। মাথাভাঙা হাসপাতালে কয়েক মাস থেকে জটিল অস্ত্রোপচার বন্ধ রয়েছে। মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে অস্থি, চোখ, শিশু এবং নাক-কান-গলা বিভাগে চিকিৎসক নেই। |
|
|
|
|
|