শপথ নিলেন রঞ্জন
‘থুতু কাণ্ডে’ অভিযুক্ত কাউন্সিলর রঞ্জন শীলশর্মা পুরসভার ডেপুটি মেয়র পদে শপথ নিলেন। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ কনফারেন্স হলে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী গৌতম দেবের উপস্থিতিতে তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। জোটের অন্য ৬ কাউন্সিলর মেয়র পারিষদ পদে শপথ গ্রহণ করেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে কৃষ্ণ পাল, দুলাল দত্ত, অরিন্দম মিত্র এবং মৈত্রেয়ী চক্রবর্তী মেয়র পারিষদ হিসেবে শপথ নেন। কংগ্রেসের তরফে শপথ নেন দেবশঙ্কর সাহা ও সীমা সাহা শপথ নেন। কাউন্সিলর সঞ্জয় পাঠকের নাম মেয়র পারিষদ হিসেবে ঘোষণা করা হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। সকলে বাংলায় শপথ নিলেও অরিন্দমবাবু ইংরেজিতে শপথ নেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শেষে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, “এবার জোটবদ্ধ পুরবোর্ড হয়েছে। সবাই খুশি। মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, তা রাখতে পেরেছি। যদিও কিছুটা দেরি হয়েছে। পুরসভার কাজে গতি আনা হবে। মন্ত্রী হিসেবে আমি নিজেই তদারকি করব।” পুরসভার মেয়র বলেন, “আগে ১৫ জন ছিলাম। এ বার ৩০ হয়েছি। রাজ্য সরকার আমাদের পাশে রয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রয়েছেন। শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। চার বিধায়ক রয়েছেন। সবার সঙ্গে সমণ্বয় রেখে কাজ করব। স্বাভাবিক ভাবেই কাজে গতি আসবে।” ২০০৯ সালের ৮ জুন স্মারকলিপি দিতে গিয়ে শিক্ষা দফতরে শিলিগুড়ি জেলা পরিদর্শক রিয়াজুল ইসলামের মুখে থুতু ছিটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে নয়া ডেপুটি মেয়র তথা প্রাথমিক শিক্ষক রঞ্জনবাবুর বিরুদ্ধে। রঞ্জনবাবুকে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। মামলাটিও চলছে। এ বার ডেপুটি মেয়র হিসেবে পুরসভা এলাকার শিক্ষার দায়িত্ব রঞ্জনবাবুর উপর। এ দিন রঞ্জনবাবু বলেন, “বিদ্যালয়গুলিতে পড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হবে। মিড ডে মিল যাতে ঠিকঠাক চলে সে দিকে নজরদারি চালানো হবে।” এ ছাড়া সংস্কৃতি ও পরিবেশ দফতরের দায়িত্বও রঞ্জনবাবুর হাতে রয়েছে। তিনি বলেন, “সংস্কৃতি ও পরিবেশ রক্ষায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” মেয়র পারিষদ দেবশঙ্কর সাহার হাতে রয়েছে ট্রেড লাইন্সেস এবং সীমা সাহাকে বিল্ডিং সেলের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৩ নম্বর বরো কমিরি চেয়ারম্যান কৃষ্ণবাবুকে পিডব্লিইডি সেল দেওয়া হয়েছে। শীঘ্র তিনি বরো কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে তৃণমূল নেতৃত্ব ঘোষণা করছেন। এদিনের শপথগ্রহণ সভায় পুরানো বোর্ডের ৩ জন মেয়র পারিষদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। পূর্ত দফতরের দায়িত্বে থাকা অতুল দাস, বিদ্যুৎ বিভাগে স্বপন চন্দ এবং সাফাই বিভাগের দায়িত্বে থাকা সুজয় ঘটককে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখতে পাওয়া যায়নি। তাঁদের ৩ জনকেই এবার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সুজয়বাবুকে অবশ্য পরে মেয়রের ঘরে বসে থাকতে দেখা যায়। কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ডের চেয়ারপার্সন সবিতা অগ্রবালও এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন না। সিপিএম তথা বামদলগুলির কাউন্সিলররাও এ দিনের শপথ গ্রহণ সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে অবশ্য মেয়রকে জানানো হয়েছে, সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের মৃত্যুতে তাঁরা শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেননি। মেয়র বলেছেন, “শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন। এক নেতার মৃত্যুতে বাম কাউন্সিলরেরা উপস্থিত থাকতে পারেননি। অন্য কিছু জন কাউন্সিলর নানা সমস্যায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।’’ মেয়র আরও বলেছেন, “এ বারে জল নিকাশি ব্যবস্থার দ্রুত উন্নতি করাই প্রথম লক্ষ্য। বৃষ্টি চলছে। মাঝে মধ্যেই নানা জায়গায় জল জমছে। সেটা রোখাই প্রথম কাজ। এ ছাড়া এনসেফেলাইটিসের মতো রোগের হাত থেকে বাঁচতে শহর পরিচ্ছন্ন রাখা হবে।” প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ যাতে শহরে কোনও ভাবে চালু না হয় সে দিকেও পুরবোর্ড লক্ষ রাখবে বলে জানান। নিয়মিত অভিযানের কথাও তিনি জানিয়েছেন।
Previous Story Uttarbanga Next Story



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.