|
|
|
|
আরএসপি-র রাজ্য নেতৃত্বের রিপোর্ট |
নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেও ‘খলনায়কে’ নেই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিগত বামফ্রন্ট সরকারের ‘নৈতিকতা’ নিয়েই মানুষের মনে ‘গভীর প্রশ্ন’ উঠেছিল বলে মনে করছে আরএসপি। বাম-শাসিত দুই রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ ও কেরলে নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে আজ, মঙ্গলবার থেকে দিল্লিতে দলের তিন দিনের যে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে, সেখানে পেশ করার জন্য এ রাজ্যের রিপোর্টে থাকছে এই সমালোচনাই। ‘পুঁজির স্বার্থ’ রক্ষা করতে গিয়েই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সরকার যে ‘শ্রেণিচরিত্র’ হারিয়ে ফেলেছিল, খোলাখুলি সেই কথাই বলছে আরএসপি।
বামফ্রন্ট যে ভাবে ‘শ্রেণি আন্দোলন’ বন্ধ রেখে নব্য উদারনীতির শর্তমাফিক ‘উন্নয়ন নামক অলীক ধারণা’কে বাস্তবায়িত করতে উঠে পড়ে লেগেছিল, তার যথেষ্টই কড়া সমালোচনা থাকছে আরএসপি-র রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর রিপোর্টে। বলা বয়েছে, শরিকরা তাদের দায়িত্ব অস্বীকার করতে পারে না, তবে মূল দায় সিপিএমেরই।
সরকারে থাকতেই সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম-সহ নানা প্রশ্নে ফ্রন্টে সরব হয়েছিল আরএসপি। প্রাক্তন পূর্তমন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামী নিয়মিত বুদ্ধবাবুর সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করতেন। কিন্তু নির্বাচনী বিপর্যয়ের পরে বাম শরিকদের মধ্যে তাঁরাই প্রথম দলীয় রিপোর্টে বলছেন, শাসক জোটের হাতে বাম কর্মী-সমর্থকরা যে ভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন তাতে বামফ্রন্টের এখন আরও সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার সময়। এখন ফ্রন্টে ‘খলনায়ক খোঁজার চেষ্টা এবং কাদা ছোড়াছুড়ি’ বন্ধ করতে হবে। যদিও আরএসপি-রই রিপোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বলা হয়েছে, ‘একান্ত ভাবে পুঁজির শর্তে, পুঁজি-নির্দেশিত পথে যান্ত্রিক ভাবে রাজ্যের উন্নয়ন সম্ভব করে আগামী দিনের ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখাতে উদগ্রীব’ হয়ে উঠেছিল বিগত বামফ্রন্ট সরকার। টাটা ও সালিম গোষ্ঠীর জন্য যে ভাবে জমি অধিগৃহীত হচ্ছিল, তাতে সরকারের ‘নৈতিকতা’ সম্পর্কেই বিপুল সংখ্যক মানুষের মনে ‘গভীর প্রশ্নের উদ্রেক’ হয়েছিল। স্পষ্টতই সমালোচনার তিরটা বুদ্ধবাবুর দিকেই। আরএসপি-র কেন্দ্রীয় কমিটির এক সদস্যের অবশ্য ব্যাখ্যা, “নীতিগত বিচ্যুতির কথা বিশ্লেষণ করতে চেয়েছি ভবিষ্যতের পথ শোধরানোর লক্ষ্যে। ব্যক্তিবিশেষকে কাঠগড়ায় তোলা আমাদের উদ্দেশ্য নয়।” |
|
|
|
|
|